আমিনুল ইসলাম: [২] ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১২ দলীয় জোট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের লেজুরবৃত্তি ও দলীয় ক্যাডার সুলভ আচরণের জন্য ইতঃপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় ৮ই মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ১২ দলীয় জোট ।
[৩] মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে ধ্বংস করেছে। তাই ১২ দলীয় জোট এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ।
[৪] তারা আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এক ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের মসজিদ কমিটি থেকে শুরু করে যে কোন পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বার অ্যাসোসিয়েশনসহ সকল জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগের আমলে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে।
[৫] বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জোটের শীর্ষ নেতারা। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এআই/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :