শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২৪, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৪, ০৩:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান শুরু, সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে ফেঁসে যাচ্ছেন শতাধিক নেতা 

শাহানুজ্জামান টিটু: [২] রমজান মাস জুড়ে সংগঠন গোছানোর পরিকল্পনা বিএনপির। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাবি কমিটি ভেঙে দিয়ে ছাত্রদলের নতুন আংশিক কমিটি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। একই ভাবে অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিষয়ে একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বাছাই করা হবে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের, চিহ্নিত করা হবে সুবিধাবাদীদের। 

[৩] সিনিয়র এক নেতা জানান, সর্বশেষ আন্দোলন; বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে যারা রাজপথে সরব রয়েছেন, তাদের মূল্যায়ন করে কমিটিগুলো পুনর্গঠন করা হবে বা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক পরিচিত মুখ নিস্ক্রিয়তার কারণে কমিটি থেকে ছিটকে পড়তে পারেন। এতে অবাক হবার কিছু থাকবে না।

[৪] দলের সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতৃত্ব বিন্যাসের জন্য সব ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন-পূর্ব আন্দোলনে অনেকে আত্মগোপনের নামে রহস্যময় নীরবতা পালন করেছেন। আন্দোলনে অংশ নেননি বা কোনো কর্মসূচি পালন করেননি। এদের অনেকে গোপনে সরকারের সাথে সমঝোতা করে করে গ্রেপ্তার ঠেকিয়েছেন। সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়ে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।  এই ধরনের প্রায় শতাধিক নেতার একটি তালিকা করা হয়েছে, যাতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় ৩০ জন। তারা কোনো কমিটিতে স্থান পাবেন না। এমনকি দল থেকেও বহিষ্কার করা হতে পারে। তারেক রহমান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে দলে প্রয়োজন নেই। 

[৫] বিএনপির দায়িত্বশীল একে নেতা জানান, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা কম, তাদেরকে প্রথমে সর্তক করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে হলে আবারো সাংগঠনিক পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে। যারা একেবারেই নিস্ক্রিয় ছিলেন তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে।

[৬] দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দল গোছানোর বিষয়টি চলমান একটি প্রক্রিয়া। তাই এটা চলতে থাকবে। মূল্যায়নের বিষয় দলের নিজস্ব কিছু পলিসি আছে, তার ভিত্তিতেই হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়