জাকির হোসেন তপন : একটা রুমে অথবা কোনো এক জায়গায় ৩, ৪, ৫ বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ, সবার চোখ সেল ফোনের স্ক্রিনে। এমন অস্বাভাবিক দৃশ্যই এখন স্বাভাবিক। এ যেন এনন্ত জলিলের জ্বলন্ত উদাহরণ- যে কিনা অসম্ভবকে সম্ভব করে অবলীলায়। বাসে, রাস্তার ধারে, মেট্রোতে, গ্যালারিতে, ড্রয়িং রুমে সবাই মুখ গুঁজে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে কী যেন এক গুপ্তধন খুঁজে ফিরছে। এমন এক কিম্ভূত পরিস্থিতিতে কারো যদি ইচ্ছা করে যে সে কথা বলবে তাহলে মোবাইল ফোন স্ক্রিনে চোখ সেঁটে থাকা মানুষগুলোর ভারি সমস্যা হয়ে যায়। তাই কোনো কথা না বলে মূক সেজে থাকা ঢের উত্তম বলে বোধহয়। আবার এমনও হয় কেউ কোনো প্রয়োজনীয় কথা বললো, কিন্তু শ্রোতার মন অন্যদিকে। কথা শেষ হলে সে মুখ তুলে জিগ্যেস করলো, ‘কী’! তখন বক্তা কী তার বক্তব্য পুনর্বার বলতে বাধ্য!?
এর মধ্যে আরেক দল আছেÑ এরা গণপরিবহনে, যেকোনো পাবলিক প্লেসে অথবা ঘরোয়া আড্ডায় বসে নানা সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও দেখতে আরম্ভ করে। সেসব ভিডিওর শব্দ যে কাছাকাছি উপস্থিত অন্যের জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে এতোটুকু কমন সেন্সও এক্ষেত্রে (এদেশে) বেশ আন কমন। আরেক দল আছে যারা একত্রিত হলে সোশ্যাল মিডিয়ার বা কোনো টিভি চ্যানেলের তৃতীয় শ্রেণির কোনো বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস আলাপ, তর্ক, আলোচনা জুড়ে দেবে। যেন এটাই তাদের জীবনের ইঁৎহরহম ঘববফ। ফেসবুকে ২২-২-২৪ প্রকাশিত হয়েছে।