শিরোনাম
◈ জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রের জিতু, জিএস শিবিরের মাজহার ◈ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ ◈ ভোলা মসজিদের খতিব ও ইসলামী বক্তা নোমানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্তান গ্রেপ্তার ◈ ৪ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা ◈ জোটে যাওয়ার বিষয়ে যা জানাল এনসিপি ◈ যে কারনে বাংলাদেশিসহ সাত জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল কুয়েত ◈ কুমিল্লা টাকার লোভে গলাকাটা হত্যা: সজিব গ্রেপ্তার, সিরাজের খোঁজে অভিযান ◈ বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ দিতে আবুধাবীর টিম হো‌টে‌লে ক্রীড়া উপ‌দেষ্টা আ‌সিফ মাহমুদ ◈ জাকসু নির্বাচন: হল সংসদের ভিপি-জিএস হলেন যারা ◈ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে কড়াকড়ি

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:৩৯ রাত
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদের রাজনীতি বুঝতে হলে তিনটি বিষয় বুঝতে হবে 

আজিজুর রহমান আসাদ

আজিজুর রহমান আসাদ: সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদের রাজনীতি বুঝতে হলে আপনাকে তিনটি বিষয় বুঝতে হবে। প্রথমটি হচ্ছে ‘সমাজের বিবর্তন’। আমরা চাই বা না চাই, সমাজে প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে। প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সম্পদ তৈরি হচ্ছে। সম্পদ প্রচুর তৈরি হলে, মানুষ সেই সম্পদের সুষমবণ্টন চাইবেই। বৈষম্যের বিলোপ চাইবেই। কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়াও এখন অনেক অনেক বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক সংস্থা বৈষম্য বিলোপ নিয়ে কথা বলছে, কাজ করছে। এটাকে বলে সমাজতন্ত্রের ‘অবজেক্টিভ কন্ডিশন’ তৈরি হওয়া। এই কন্ডিশন তৈরি না হলে কোনো কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচন বা আন্দোলন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারে, এবং সমাজতন্ত্র গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে। তবে সেটি সমাজতন্ত্র অভিমুখী যাত্রা। 

দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সমাজতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী চেতনা, চর্চা ও আন্দোলন। কোনো কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য নয়, কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে অনেক মানুষ সহযোগিতা, সমতা, সহভাগিতার মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। মানুষ সভ্য হয়ে উঠছে, জ্ঞানবিজ্ঞানের বিকাশের কারণে। ফলে মানুষ বৈষম্যমূলক সম্পর্ক অন্যয্য মনে করছে। মানুষ পুঁজিবাদ উত্তর একটি সমৃদ্ধ ও শান্তির সমাজ প্রত্যাশা করে। এই চেতনা প্রকাশিত ব্যক্তিগত জীবন চর্চায়, সমবায়ী গ্রুপে, সাংস্কৃতিক সংগঠনে, সাহিত্যে, সংগীতে, ফিল্মে ও নানা সাম্যবাদী চরিত্রের আন্দোলনে। সমাজতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী আন্দোলন হচ্ছে। দেখতে চাইলে তা দেখতে পাবেন। এই চেতনা, চর্চা ও আন্দোলন, একদিকে অবজেক্টিভ প্রক্রিয়া, অন্যদিকে সাব্জেক্টিভ প্রস্ততির অংশ। 

তৃতীয়টি হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী দল বা পলিটিকাল পার্টি। এই পার্টি সমূহ নানা ভাঙ্গাগড়া, নানা সফলতা ব্যর্থতার অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে এগোচ্ছে। এই পার্টিসমূহের সমস্যা আপনাকে বুঝতে হবে। পার্টির বা দলের ব্যাপারটি সমাজতন্ত্রের ‘আত্মগত প্রস্ততির’ বিষয়। বস্তুগত বা অবজেক্টিভ কন্ডিশন তৈরি হলেও, যদি সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন না থাকে, তাহলে সমাজতন্ত্রে উত্তরণ সম্ভব হয় না। কোনো বিশেষ সাম্যবাদী দলের আচরণ বা সফলতা ব্যর্থতা দিয়ে সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদী আন্দোলন ও রাজনীতি বোঝা যায় না। মূল্যায়ন করা যায় না। মনগড়া কিছু বলা যায় হয়তো। আপনাকে অবজেক্টিভ কন্ডিশন ও সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন, এই দুই দিককেই বুঝতে হবে। লেখক: গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়