আশিক নূরী: [১] অভিনেত্রী ফারজানা ছবি বলেন, ইউটিউবে এখন যেসব নাম দেখছি বিভিন্ন চ্যানেলে, কনটেন্টের এই নামগুলো কি আমাদের কালচার পারমিট করে? কখনোই না। আমরা এমন একটা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ধারকবাহক, বাঙালি জাতি, যা আমাদের গর্বের। আমাদের জন্য সম্মানের। সারা পৃথিবীতে একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। আমি তো আসলে এই কথাগুলো বলতেই শিউরে উঠছি। বাঙালি জাতিই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে।
[২] যেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি অভিনয় শিল্পী হবো, শিল্প ও সাহিত্যের সঙ্গে জার্নি করবো, তখন থেকে আমার মনে হয়েছে আমি যখন যে কথাটি বলি, যে ভাষায় কথা বলি, সেই কথাটি লক্ষ কোটি অজানা, অচেনা, কাছের দূরের মানুষ দেখছেন, শুনছেন। তাই আমার শব্দের চয়ন বা আমার ভাষা ব্যবহার থেকে প্রত্যেকটা মানুষ, যিনি দেখবেন বা শুনবেন তার জীবনে কিছু না কিছু ইতিবাচক শব্দ বা ইতিবাচক দিক যোগ হোক। এটা আমার চাওয়া, এটা আমার চেষ্টা থাকে।
[৩] আমি চাইবো যারাই গণমাধ্যমে কথা বলবেন এই প্লাটফর্মটাকে ব্যবহার করতে পারবেন, নিজের কথা অন্যের কাছে পৌঁছানোর জন্য, তারা অবশ্যই সচেতন হবেন, সুচিন্তিতভাবে কথা বলবেন। পরিশীলিত, পরিমার্জিতভাবেই ভাষার ব্যবহার দিয়ে আমাদের বাংলা সংস্কৃতি, বাংলার ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবেন।
[৪] আমার জীবনসঙ্গী, যার সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গেই আছি, যে মানুষটি প্রথমে আমার বন্ধু ছিল, পরবর্তী সময়ে প্রেমিক হয়েছে, তারপর আমার স্বামী। তন্ময়-সরকার। আমি আসলে তাকেই পাশে চাই। কারণ তার সঙ্গে আমার যে প্রশান্তি, তার পাশে থাকবার, তার সঙ্গে পথ চলবার, সেই প্রশান্তি আসলে কোনো কিছুর বিনিময়ে আমি হারাতে চাই না।
[৫] ফারজানা ছবি ভালোবাসা দিবস নিয়ে আরও বলেন, সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা এবং অনেক অনেক ভালোবাসা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবাসাময়, আনন্দময় হোক। জীবনকে উপভোগ করতে পারাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি বা পাপ্তি। বেঁচে থাকার মতো এতো অবোধ সুন্দর আর কিছুই নেই। জীবনের কোনো ছোট জটিলতাতে যেন আমরা হার না মানি। আমি আমার ‘জলছবি’ বইতে বেঁচে থাকার সেই গল্প বলতে চেয়েছি। আমি দর্শকদের বলবো, এই ভালোবাসা দিবসে নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন, যাতে আমরা বেঁচে থাকার এই জয়গান গেয়ে যেতে পারি। সূত্র : আর টিভির ভিডিও কনটেন্ট থেকে শ্রুতিলিখন করা হয়েছে।