ডা. লেলিন চৌধুরী: রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনে এক্স-রে করাতে হয়। এক্স-রে বা রঞ্জনরশ্মি শরীর ভেদ করতে সমর্থ। এর সাহায্যে শরীরের ভিতরের ছবি তোলা যায়। দেহাভ্যন্তরের ছবি বিভিন্ন রোগনির্ণয়ের জন্য খুবই দরকারি। এক্স-রে ক্ষতিকর হবে কিনা সেটা নির্ভর করে ব্যবহৃত রশ্মির পরিমাণের উপর। এজন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (IAEA) সহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থা এক্স-রের নিরাপদ ব্যবহারের মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অথবা বাংলাদেশের সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী এক্স-রে করা হলে তাতে বিপদের আশঙ্কা নেই বললেই চলে। যেমন একটি বুকের এক্স-রের জন্য যে মাত্রার রশ্মি ব্যবহার করা হয় তা অতি অল্প।
এক্স-রে কক্ষের বাইরে যারা থাকে তাদের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে কি? - এক্স-রে করার দেয়াল ও দরোজার কপাট কেমন হবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি গাইড লাইন রয়েছে। সে অনুযায়ী কক্ষ তৈরির পর কমিশনের কর্মকর্তাদের নিদিষ্ট টিম পরিদর্শন করে সনদ প্রদান করে। কেবল তার পরেই এক্স-রে করা যায়। সনদপ্রাপ্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষের চারপাশে বা হাসপাতালের ভিতর বা বাইরের কেউ এক্স-রে পরীক্ষা থেকে নির্গত বিকিরণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। এসংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এখন পর্যন্ত এমনটাই বলছে। অবশ্য যারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না সেসব দূর্নীতিবাজদের কথা এখানে বলা হচ্ছে না। লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ