সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু: গত দু’তিন সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কারিকুলাম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর বিতর্ক দেখছি, পড়ছি। বেশকিছু অভিভাবককে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতেও দেখেছি। এই বিতর্কে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, সাধারণ মানুষকেও অংশগ্রহন করতে দেখছি। কেউ কেউ সারিয়াসলি লিখছেনও। দুপক্ষের এই বিতর্কে অংশ নেয়া মানুষদের কখনও কখনও প্রতিপক্ষকে অসহিষ্ণু, অশোভন ভাষায় আক্রমন করতে এবং নানা শব্দের সিলমোহর মেরে দিতে দেখেছি। উভয় পক্ষের বক্তব্য পড়ে, শুনে, দেখে, আমি শতভাগ নিশ্চিত এরা কেউই নতুন কারিকুলামটি সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে, না পড়ে ভাসা ভাসা ধারণা নিয়েই কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে বাকযুদ্ধ চালিয়ে একে অন্যকে আহত করে যাচ্ছেন।
সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে আমাদের কথিত শিক্ষাব্যক্তিত্ববৃন্দ, শিক্ষা সংক্রান্ত বৈদেশিক তহবিলে চলা শিক্ষা সংক্রান্ত এনজিওগুলোও কোনোধরণের সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছেন বলে শুনিনি। আমাদের টেলিভিশনের টকশোতে এই কারিকুলাম নিয়ে কোনো আলোচনা করেছেন বলে চোখে পরেনি। (তৃতীয়মাত্রায় একদিন একটি সাধারণ মানের আলোচনা দেখেছি)। তবে টকশোতে বিরামহীনভাবে চলছে নির্বাচন কেন্দ্রিক মজমা আর ঢোল পেটানো। এই বিতর্কের দ্রুত অবসান, অথবা বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া জরুরি। দেখা দরকার আসলেই নতুন কারিকুলাম আমাদের সন্তানদের জন্য মঙ্গলকর নাকি বিধংসী। সবার প্রতি অনুরোধ, নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে ভালমত না জেনে, না পড়ে, না বুঝে এই বিতর্ক যুদ্ধে ঢাল-তলোয়াল নিয়ে নামবেন না। আর যাদের সন্তানেরা বিদেশে পড়ে, ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র-ছাত্রী তারাও কম বলবেন। কারণ আপনাদের বলায় নিজ পরিবারের লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত হবার শঙ্কাটা নেই বলে তা হবে পক্ষপাতমূলক। আমি আবারও বলি এ বিষয় নিয়ে যারা তর্কযুদ্ধে নেমেছেন তারা (উভয় পক্ষ) ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে, শোনা কথায় বিশ্বাস করেই নেমেছেন। যা ভয়ংকর রকমের ক্ষতিকর এবং আহাম্মকী। ফেসবুকে ৪-১২-২৩ প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :