আশিক নূরী : নির্মাতা এসএ হক আলীক বলেন, সম্পর্কের দিক থেকে নায়ক রিয়াজ আমার বড় ভাইয়ের মতো। আমার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় ‘হৃদয়ের কথা’ দিয়ে। এই ছবিতে আসলে রিয়াজ ভাইয়ের অনেক অবদান আছে। এটা আমার সাড়াজীবন মনে থাকবে। কারণ একজন নবীণ নির্মাতা হয়েও আমি যখন গল্পটা বলার জন্য রিয়াজ ভাইয়ের কাছে যাই, গল্পটা শোনার পর তিনি আমাকে অফার করেন, ছবিতে তিনি নিজেই ইনভেস্ট করবেন! প্রডিউসার হবেন। এটা আমার জন্য বিশাল সারপ্রাইজিং ব্যাপর ছিলো। একজন তরুণ নির্মাতার কাছে যদি একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা গল্প শুনেই নিজে ইনভেস্ট করেন, সেটা আসলেই একটা বিশাল পাওয়া। সেই সময় রিয়াজ ভাই অনেক বেশি জনপ্রিয় সুপারস্টার ছিলেন। রিয়াজ ভাই একজন দারুণ অভিনেতা, সেটা মাথায় রেখেই তাঁর কাছে আমার যাওয়া। তাঁর সঙ্গে দুইটা ছবি ছাড়াও প্রচুর নাটকেও কাজ করা হয়েছে। আমি দেখেছি রিয়াজ ভাই যখন অভিনয় করতেন, অভিনয় করার সময় কিন্তু বোঝা যায় না যে, তিনি অভিনয় করছেন। কিন্তু এডিটিং টেবিলে গেলে তখন মনে হয় যে, একদম পারফেক্ট এক্সপ্রেশনটা দিয়েছেন। এটা বলার কারণ হলো উনি ন্যাচারাল অভিনয় করেন। ন্যাচারাল অভিনয় মানেই হলো চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া। রিয়াজ ভাই হলেন সেই ধরনের অভিনেতা।
সালমান শাহর পরে রোমান্টিক হিরো বলতে আসলে আমার কাছে, রিয়াজ ভাই বেস্ট ওয়ান। রিয়াজ-শাবনূর, রিয়াজ-পূর্ণিমা জুটি ছিলো দারুণ ব্যাপক জনপ্রিয়। আমি যখন ‘হৃদয়ের কথা’ ছবি বানাবো সিদ্ধান্ত নিই, তখনই আমার মাথার মধ্যেই ছিলেন রিয়াজ ভাই। রেডিও, পত্রিকা ও দর্শকেরা তাকে বলতো, ‘লাভার বয়’। স্কিনে বেশির ভাগ সময়ই রিয়াজ ভাই প্রেম করতেন। এজন্যই দর্শকেরা হয়তো তাকে এই নাম দিয়েছেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো, রিয়াজ ভাই।
সূত্র : হাসান সাইদুল ফেসবুক পেইজ। অনুলিখন করা হয়েছে। তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক, যিনি রিয়াজ নামেই অধিক পরিচিত। ২৬ অক্টোবর ছিলো তাঁর জন্মদিন।