দেবদুলাল মুন্না: আদিলুর রহমান খান শুভ্র বেশ বিখ্যাত। খুব কম সময়ে। যতটা না তার অবদানের কারণে, বেশি আওয়ামী সরকারের বিজ্ঞাপনে। অবশ্য তার অধিকার সংঘটন নিয়ে বিভিন্নমুখী কথা চালু আছে। তার ওপর সরকার হঠাৎ ক্ষেপলো কেন? তিনি তো তেমন ভয়ঙ্কর সরকারবিরোধী কিছু ইদানিং করেননি। কারণ আপনারা তাকে নিয়ে ব্যস্ত হবেন এখানে। তাই। নন ইস্যুকে ইস্যু বানানো হলো। ইউনূস ইস্যু ঢাকা পড়লো আপাতত। মধ্যে হিরো আলম ইস্যুতে মেতেছিলেন। সামনে নুরু ইস্যুতে মাতবেন। এভাবে ইস্যু পাল্টাবে। আপনারা মগ্ন থাকবেন।
একটা ঘটনা খেয়াল করুন, ফরহাদ মজহার কিন্তু চুপ। দৃকের শহিদুলও। বিএনপি তো আছে, না নাইÑ বোঝাই যাচ্ছে না। যাক, আওয়ামী লীগ এখনো তার রাজনৈতিক চরিত্র অনুযায়ী খেলছে ভালো। সময় বেশি নেই। ঈদের সময়ও ঘনিয়ে আসছে। তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন। আদিলুরের ব্যাপারটা একটা জনমত ও বিদেশি শক্তির মনোভাব বোঝার জন্য এসিড টেস্ট। এটা করলে কী হয় একটা জরিপ গবেষণা করে নিলো। এর বেশি তেমন কিছু নয়।
এনিওয়ে আদিলুর রহমান খান শুভ্র সম্পর্কে সব জানেন তো আপনারা? রাজনৈতিক অবস্থান আর কী? জেনে নিন। বলা যাবে সময় মতো। আপাতত এটুকু বলি, তিনি একজন ভালো মানবাধিকার ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ী কথাটা আন্ডারলাইন করে রাখুন। মানবাধিকারকে ব্যবসায় পরিণত করা অবশ্য ক্যাপিটালিজমের নিও লিবারেল ভালো এজেন্ডা। লেখক: সুইডেন প্রবাসী সাংবাদিক