শিরোনাম
◈ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেইনি শুধু একটি হাত-ই ব্যবহার করেন, কি রহস্য লু‌কি‌য়ে আ‌ছে ◈ দু‌টি মাইলফল‌কের হাতছা‌নি লিটন দা‌সের সাম‌নে ◈ যে কারণে জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির ডাঃ শফিকুর রহমান (ভিডিও) ◈ ইসমাইল ক্বানি জীবিত, জনসমাবেশে উপস্থিতিতে গুজবের অবসান; ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে উত্তেজনা অব্যাহত ◈ নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র হচ্ছেন জোহরান মমদানি ◈ কল‌ম্বো টে‌স্টে মিরাজ ও নাঈমকে নিয়ে মধুর সমস্যায় বাংলাদেশ ◈ শেখ হাসিনার পতনের পর ঐক্যে ভাঙন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে সন্দিহান মাহাথির; ড. ইউনূসকে বললেন ‘বড় মাপের মানুষ’ ◈ লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নাপিত পিতা-পুত্র আটক, কী ঘটেছে সেখানে? ◈ ভোলা ছাত্রদল নেত্রী ইপ্সিতার নদীতে লাশ উদ্ধার: আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা, রহস্য ঘিরে ধোঁয়াশা ◈ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ায় হতাশ ট্রাম্প, প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়লেন অশ্রাব্য ভাষায় (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:৪৭ রাত
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাস্কর, মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্প-উদ্যোক্তা, নিতুন কুন্ডুর প্রয়াণ দিবস

আশিক নূরী: [১] নিতুন কুন্ডু ছিলেন একজন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, নকশাবিদ, ভাস্কর, মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্প-উদ্যোক্তা। তিনি সাবাশ বাংলাদেশ, সার্ক ফোয়ারা প্রমূখ বিখ্যাত ভাস্কর্যের স্থপতি। তিনি আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অটবি স্থাপন করেন ও সফলতা লাভ করেন। শিল্পী কামরুল হাসানের সঙ্গে মিলে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে পোস্টার ডিজাইন ও অন্যান্য নকশা প্রণয়ন করেন। তার প্রণীত পোস্টারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘সদা জাগ্রত বাংলার মুক্তিবাহিনী’ ও ‘বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধা।’ [২] তিনি ১৯৩৫ সালের ৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

চিত্রশিল্পী নিতুন কুন্ডু ১৯৫৯ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘ডিজাইনার’ হিসেবে। ১৯৬২ সালে ইউনাইটেড স্টেটস ইনফরমেশন সার্ভিসেস (ইউসিস)-এর প্রধান ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের জনসংযোগ বিভাগে কাজ করেন। [৩] শাবাশ বাংলাদেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সার্ক ফোয়ারা, ঢাকা (১৯৯৩), প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলের সামনে অবস্থিত, কদমফুল ফোয়ারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুর‌্যাল (পিতল), পাকিস্তান এয়ারলাইন অফিস, হোটেল শেরাটন, ঢাকা সহ আরও অনেক ভাস্কর্য তৈরি করেন। তাছাড়া তার উল্লেখযোগ্য কাজ যেমন ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধের পোস্টার ডিজাইন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এর পদকের নকশা, এশিয়া কাপ ক্রিকেট পুরস্কার পদকের নকশা, প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ-এর নকশা সহ আরও অনেক শিল্পকর্ম করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি জাতীয় চরচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৭ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০০৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়