সায়েন্স বি : না এগুলো কোনো এলিয়েনে মাথা নয়। বরং ১৯২০ এর দশকের শেষের দিকে পেরু থেকে উদ্ধার করা প্যারাকাস সভ্যতার মানুষদের মাথার খুলি। অবশ্য খুলির এমন অবস্থা প্রাকৃতিকভাবে হয়নি। বরং কৃত্রিম ভাবে, শিশু জন্ম নেওয়ার ১-২ মাসের মধ্যে তার মাথা শক্ত করে কাপড়, দড়ি অথবা ইলাস্টিক জাতীয় রাবার দিয়ে বেধে দেওয়া হতো। কারণ এই সময় শিশুদের অঙ্গ প্রতঙ্গ নমনীয় অবস্থায় থাকে এবং নিদিষ্ট আকার দেওয়া সহজ হয়। এমন অবস্থায় কয়েক বছর রাখা হতো যতোক্ষণ না নিদিষ্ট আকার লাভ করে৷ পাশাপাশি দুই কাঠের মাঝখানে মাথা রেখে নিদিষ্ট সময় পর পর চাপ দেওয়া হয়। যার ফলে কৃত্রিমভাবে এই সভ্যতার মানুষদের মাথার খুলি লম্বা আকার ধারণ করে।
কেন তারা এরকম করতো? এই সম্পর্কে বেশ কিছু থিওরি প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণিরা নিজেদের স্ট্যাটাস প্রকাশের জন্য এমন পন্থা ব্যবহার করতেন। যাতে করে অন্যদের তুলনায় তাদের আলাদা করা যায়। আবার বলা হয় এই সভ্যতা অন্য সভ্যতার মানুষদের তুলনায় নিজেদের আলাদা করতে এমন রীতি ব্যবহার করতো। অবশ্য শুধু পেরু বা উত্তর আমেরিকাতেই যে এমন মাথার খুলি পাওয়া গেছে বা এই রীতি প্রচলিত ছিল এমনটাও না। উত্তর আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ, এশিয়া এবং পৃথিবীর প্রায় সব কোণাতেই কোনো না কোনো সভ্যতার মাঝে এমন রীতির খোঁজ পাওয়া গেছে। ফেসবুক থেকে