শিরোনাম
◈ অপ্রত্যাশিত এক ফোনকল নিয়ে নিয়ে বিরক্ত অভিনেত্রী প্রভা ◈ বাড়ি যদি কবরও হয়, তবু দেশ না ছাড়ার অঙ্গীকার ইরানের ‘জেনজি’ ◈ স্ত্রী নির্যাতন বেশি হয় বরিশালে, সবচেয়ে কম সিলেটে! ◈ ভারতীয় দলের কোচ হতে চান সৌরভ গাঙ্গু‌লি ◈ জাস‌প্রিত বুমরাহর রেকর্ড ফাইফার, লিডসে ইংলান্ড- ভারত লড়াই হ‌চ্ছে সমা‌নে সমান  ◈ আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কি সত্যিই রাসূল (সা.)-এর বংশধর? ◈ রাজধানীতে দুই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে লোডশেডিং পরিস্থিতি ◈ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন হামলা ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’: পেন্টাগনের বিস্তারিত প্রকাশ ◈ নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন কত দূর? ◈ নুরুল হুদার পর এবার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট, ২০২৩, ১১:৩৫ রাত
আপডেট : ০৯ আগস্ট, ২০২৩, ১১:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারী কিসে আটকায়!! 

সিফাত বন্যা

সিফাত বন্যা: খুব বিতর্ক চলছে কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে।। আমার এক ফেসবুক বন্ধুর গল্প শুনলাম। মেয়েটি যখন ক্লাস এইটে পড়ে তখন থেকে তাদের সম্পর্ক। এখন মেয়েটি দেশের নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাদের সম্পর্ক তিন বছর আগে নষ্ট হয়েছে। তখন ছেলেটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠতে পারেনি। এখন তিনি একটা স্বনামধন্য  প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। মেয়েটির তাঁকে ছেড়ে যাওয়ার কারণ ছিল পারিবারিক অবস্থান। এবং অজুহাত ছিল বাবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে মেয়েটি কিছুই করবেনা। মেয়েটির গল্প শুনে তাকে আমার উচ্চাকাক্সক্ষী মনে হয়েছে। উচ্চাকাক্সক্ষী হওয়া অবশ্যই অপরাধ নয়, অপরাধ তখনই হয় যখন আপনি কারো হৃদয় নিয়ে খেলেন। এবং চলে যাবার কারণ হিসেবে পুঁজিবাদের কিছু টার্মকে দাঁড় করান। সম্পর্ক ভাঙতে পারে অবিশ্বাসে,,প্রতারণায়,,মানসিক অত্যাচারে, অবহেলায়। কিন্তু প্রেমিক বা স্বামীর অর্থ কম বলে যারা চলে যায় তারাতো আর সম্পর্কের মূল্যায়ন করলেন না। এখানেই কিন্তু হৃদয়ের কাছে পূঁজিবাদ জিতে গেলো।
আমি আমার অনেক নারী বন্ধুকে দেখেছি প্রেম করে একজনের সঙ্গে বিয়ে করে আরেকজনকে। কারণ দিনশেষে অর্থনৈতিক স্বস্তি। বাবা মেনে নিবে না কথাটা তখনই আসে যখন প্রেমিক পুরুষটি বাবা নামক পুরুষের চেয়ে আর্থিকভাবে নিম্নস্তরে থাকে। কিছু কিছু কেস ভিন্ন হয় সেটা উদাহরণ হতে পারে না। বেশিরভাগ নারীবাদীদের দিকে তাকালেও তাদের জীবনাচরণ সম্পর্কে জানলেও আমরা দেখতে পাবো তারা কখনো তাদের চাইতে কম আয় করা পুরুষকে সঙ্গী বানান না। এবং অনেকেরই সুগার ড্যাডি আছে। নারীবাদী এই বিষয়টা এখন অনেকটাই উচ্চবিত্তদের আধিক্যে চলে গেছে। তাদের সাথে সাধারণ নারীদের কোন যোগসূত্র নেই। আমি নিজে অনেকবার অনেক উচ্চবিত্ত নারীবাদীদের কাছ থেকে সাধারণ নারীদের জন্য সহযোগিতা চেয়ে পাইনি। সুতরাং তারা এক ধরনের উচ্চবিত্ত মানসিকতা নিয়ে চলেন এবং তাদের জীবনযাপনও তৈরী হয় সমাজের উচ্চবিত্ত পুরুষদের সাথে।
গাজীপুর একটি শিল্প নগরী। এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পোশাক কারখানা। এসব পোশাক কারখানায় অসংখ্য নারী শ্রমিক কাজ করে। আমি অনেক নারীর মুখেই শুনেছি, ঝগড়া হলে স্বামীকে বলতে তোর সাথে থেকে কি হবে তুই আমাকে কি দিতে পারিস! বা আমি তোর থেকে বেশি আয় করি। এদের বর যদি লাইনম্যান হয় এরা প্রেম করে ম্যানেজারের সাথে।
সুতরাং বলাই যায় আধুনিক নারীরা পুঁজিবাদী ও ভোগবাদী। কিন্তু এর বিপরীত চরিত্রেরও কিন্তু অনেক গল্প আছে। যারা সত্যি সত্যি পুরুষটিকেই ভালোবাসেন। ভালোবেসে অনেক অত্যাচার, অপমান সহ্য করেন। বার বার নিজের অনুভূতির কথা বলেন। তবে বর্তমান সময়ে এমন নারীর সংখ্যা সম্ভবত কমে গেছে। তাই নারীরা শুধুমাত্র অর্থেই আটকায় আবার ভালোবাসা বা সম্মানেই আটকায় এ নিয়ে বিতর্কের কোন অবসান কোনদিন হবে না। কিন্তু সবকিছুকে উপেক্ষা করে গেলেও অর্থ একটা বিশাল ভূমিকা রাখে মানুষের জীবনে। হাতে গোনা ধনী দু এক জনের ডিভোর্স হওয়া উদাহরণ হিসেবে আসতে পারে না। সুতরাং বলা যেতেই পারে নারীকে আটকাতে হলে অবশ্যই অর্থ দরকার, সামাজিক অবস্থান দরকার এবং সেই সাথে সম্মান, মানবিক আচরণ আর ভালোবাসাও দরকার।
কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের জীবনের ঘটনাই হলো আমরা সবাই ভুল মানুষের প্রেমে পড়ি। ভুল মানুষের জন্য কষ্ট পাই। সুতরাং এতক্ষণ আমি যেসব আলোচনা করলাম এগুলোও হুদাই। দিনশেষে আমরা সঠিক মানুষকে খুঁজে পাবো না বা পেলেও আগলে রাখবোনা। ভুলের মধ্যেই চলবে জীবন।
তাই কেউ কাউকে আটকানোর দরকার নেই। ভুল মানুষ হলে চলেই যাবে। ধরে রাখা যাবে না পৃথিবীর সবকিছু দিয়েও। ওক্কে!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়