আলাউদ্দিন আল আজাদ: একটি স্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস চলছে। এমন সময় শ্রেণি কক্ষে ঢুকলেন প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষা বোর্ড থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসা পরিদর্শক। শ্রেণি কক্ষের সমস্ত ছাত্ররা দাঁড়িয়ে তাঁদের সম্মান জানাল। পরিদর্শক মহোদয় জিজ্ঞেস করলেন, ক্লাসে ফাস্ট বয় কে হাত তোলো। বল্টু সঙ্গে সঙ্গে হাত তুললো। পরিদর্শক প্রশ্ন করলেন, ‘বলতো বৃষ্টি কেন হয়’? বল্টু পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বললো, ‘স্যার এখনকার উত্তর বলবো, নাকি একঘণ্টা পরের উত্তর বলবো’?
ছাত্রের এমন ‘উদ্ভট’ প্রশ্ন শুনে পরিদর্শক মহাশয় কিছুটা ইতস্তত করে বললেন, ‘আচ্ছা এখনকারটাই বলো’। বল্টু একটুও দ্বিধা না করে বললো, ‘স্যার, সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের জল জলীয় বাষ্প হয়ে আকাশে উঠে যায়। পরবর্তী সময়ে তা ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে বায়ুমন্ডলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে চলে আসলে তা ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। যাকে আমরা বৃষ্টি বলি’।
ছাত্রটির বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর শুনে পরিদর্শক, প্রধান শিক্ষক এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ সকলেই অতিশয় আনন্দিত হলেন। আনন্দের ঘোর কাটতেই পরিদর্শক আবার বললেন, ‘এবার বলো তোমার একঘণ্টা পরের উত্তর’। বল্টু এবারও দ্বিধা না করে উত্তর দিলো, ‘স্যার, মীকাঈল ফেরেস্তা যখন বলবেন, বৃষ্টি হও, তখন বৃষ্টি হয়’। পরিদর্শক দারুণ কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ উত্তরটা একঘণ্টা পরের উত্তর, কিন্তু কেন? বুদ্ধিমান বল্টু তড়িৎ উত্তর দিলো, ‘স্যার, একঘণ্টা পরে তো আমাদের ধর্ম ক্লাস’। ফেসবুক থেকে
