শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ০২:২২ রাত
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ০২:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সড়কে বিশৃঙ্খলা, সড়কে মৃত্যু এবং ‘চাঁদেরও কলঙ্ক আছে’!

সুমন্ত আসলাম

সুমন্ত আসলাম: কাদের ভাইয়ের দিকে তাকালে আমি তাঁর দুটো ব্যাপার খেয়াল করি

[১] তাঁর হাতের ঘড়ি,

[২] তাঁর কথা বলার ঢং। দুটোতেই অন্যরকম একটা স্বাদ পাই আমি। শুনেছি আমাদের দেশের কবিরা একে অন্যের দিকে নাকি তাকায় না, মনে মনে নিজেকে বড় দাবি করে, ভাবে প্রকাশ করে। কিন্তু উপন্যাসিকরা তাকায়। কাদের ভাই এখন উপন্যাসিক, আমিও। এই ব্যাপারটাতেও অন্যরকম একটা বোধ হয় আমার। 

মন্ত্রী হিসেবে কাদের ভাইয়ের মেয়াদ ১১ বছর পার হলেও সড়কে শৃঙ্খলা তো আসেইনি, মৃত্যু বেড়েছে বরং। পেপারে লিখেছে। এটা শুনে কাদের ভাই একটা বাণী দিয়েছেন। ‘চাঁদেরও কলঙ্ক আছে, এর জন্য চাঁদের উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেছে? কাজ করতে গেলে তো ব্যর্থতা থাকবেই’। কী সুন্দর কথা। কিন্তু কাদের ভাই সঙ্গে আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছেন। চাঁদ তার কলঙ্কমাখা মুখের জন্য কয়দিনের জন্য আড়ালে চলে যায় আকাশ থেকে, সেটা লজ্জায় হতে পারে, কিংবা একই মুখ-চেহারা একনাগারে দেখিয়ে সবাইকে বিরক্ত না করার ভদ্রতায়ও হতে পারে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ব্যর্থজনরা বারবার সাধারণ মানুষের সামনে আসেন, ভাষণ দেন, বড় বড় কথা বলেন, ছবিও তোলেন। 

খুব ইচ্ছে আছে কাদের ভাইকে একদিন বাসায় ডাকব। সিরাজগঞ্জ থেকে দুই দাঁতের গরুর মাংস, ধানসিঁড়ির দই, সুব্রতর সন্দেশ আর ভোলা খাঁর পানতোয়া এনে যত্ন করে খাওয়াবো। তারপর বাসার পাশে বিহারি ক্যাম্প থেকে সর্বোচ্চ দামের ৩০০ টাকা দিয়ে পান এনে হাতে দেব তাঁর আদব করে। উনি ওটা মুখে নিয়ে চাবাতে থাকবেন, সুবাস বের হবে বাহারি পানের, মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, ঠিক তখনই ভাইকে বলবো, ‘ভাই চলেন, কিছু জিনিস দেখাই আপনাকে’। 

ভাই রাজি হবেন নির্দ্বিধায়। সুযোগ বুঝে আমি তাঁকে নিয়ে যাবো শ্যাওড়াপাড়ার সেই বাসাটায়, অফিস থেকে ফেরার সময় এ বাসার উপার্জনক্ষম একমাত্র মানুষটি মারা গেছেন বাসের চাপায়, তিনি দেখবেন জীবন এখানে কেমন, ছোট বাচ্চা দুটোর কান্না, বৃদ্ধ মায়ের জলভেজা চোখের অপেক্ষা, পোয়াতি বউটার আঁকুতি আর অনিশ্চয়তার দহন। আমি নিশ্চিত কাদের ভাইয়ের সেই ‘কিছু ব্যর্থতা’ দুক্ষু আর লজ্জায় আত্মহত্যা করবে অবলীলায়, তখনই। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়