শিরোনাম
◈ খান ইউনুসে চলছে প্রচণ্ড লড়াই : আটকা পড়েছে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ দেশের ৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:৩১ রাত
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 ‘সময়’ এবং ‘মন’

আহসান হাবিব: সময়ের চেয়ে দ্রুতগামী কি আছে এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলি ‘মন’। সত্যি কি মন সময়ের চেয়ে দ্রুতগামী? আমার মনে হয় না। কারণ সময় সবসময় সামনে চলে, পেছনে রেখে যায় তার পদচিহ্ন, মন সেই পদচিহ্ন দেখতে পায় কেবল। অর্থাৎ মন সামনে নয় পেছনে চলে। সময়ের চলা যদি হয় ত্বরণ, মনের চলা তার পিছু পিছু। সময় ঘটনা, মন তাতে সাড়া দেয় কিংবা দেয় না। মানুষের মন ভবিষ্যৎ সময়কে যে দেখতে কল্পনা করে, তা অস্পষ্ট, ধারণা মাত্র, কিন্তু সময় এসবের ধার ধারে না, যা কিছু করে, স্পষ্ট । মানুষ এই স্পষ্টতাকে সম্পূর্ণ দেখতে পায় না, খুব সামান্য দেখতে পায়। সময়ের চিহ্নগুলো মানুষের দেখে উঠতে সময় লাগে, বুঝে উঠতে সময় লাগে। তাই যা কিছু ঘটে, মানুষ তা নিয়েই কাল কাটায় দীর্ঘসময়। অথচ এসব মানুষেরই সৃষ্টি। মানুষ তার সৃষ্টির মাঝেই বিস্ময় খুঁজে ফেরে এবং তার ঘোর কাটতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়।
ততোক্ষণে সময় পাড়ি দিয়েছে আরও কয়েক লক্ষ আলোকবর্ষ এবং মানুষের জন্য রেখে গেছে পরম বিস্ময়। এই বিস্ময় আর কিছুই নয় বস্তুর ধর্মের বৈচিত্র্য। একটি বস্তু কত বৈচিত্র্য ধারণ করে, তার শেষ নেই, অসীম। সময় তার অপূর্ব সৃষ্টি ক্ষমতা দিয়ে সেসব উন্মোচন করতে থাকে। আসলে সময় করে না, করে এই মানুষই। সময় তার সৃষ্টির প্রারম্ভেই এইসব বিস্ময় নিয়ে হাজির হয়েছিল, ক্রমে সে তার ঝাঁপি খুলে খুলে চলে। এই খোলার কাজটি সময়ের অপূর্ব সৃষ্টি এই মানুষই করে। এই যে মানুষের মন তা কিন্তু সময়ের সৃষ্টি, মনকে দিয়ে সময় তার বিস্ময় দেখার কাজ করিয়ে নেয়। তাহলে মন কি করে সময়ের চেয়ে দ্রুতগামী? নয়, এমনকি সহগামীও নয়। নয় যে তার প্রমাণ মানুষ এখনো বাস করে তারই ফেলে আসা সময়ের দূর দূর পশ্চাতে। এই পশ্চাৎ বসবাসই মানুষের সাথে মানুষের সংঘর্ষের মূল কারণ।
সময়ের কি ভর আছে, ওজন আছে? নেই। কিন্তু মানুষের আছে। যেদিন মানুষ ভরহীন হয়ে যাবে, সেদিনই কেবল মানুষ সময়ের সঙ্গে চলতে পারবে, সেদিন মন বলে আর কিছু থাকার দরকার পড়বে না। মন এখনো সময়ের ক্রীড়নক মাত্র। লেখক: ঔপন্যাসিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়