মনজুরুল হক: এজন্যই ফুটবল দেখতে চাই না। ফুটবলের মতো ক্রিকেটে দুই মাঠে দুই ম্যাচে প্লেয়ারদের ব্যক্তিগত রাগ-বিদ্বেষ, হিংসা-ঘৃণার কারণে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার নজির নেই। বিস্তারিত লেখার মুড নেই। বারে বারে সুয়ারেজের কান্নাজড়ানো মুখটা ভেসে উঠছে। এই বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচ দেখার উৎসাহে পানি পড়ল। দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেয় ভিএআর। বক্সের মধ্যে নুনেজকে ফেলে দিয়েছিল ঘানার গোলকিপার, কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেয়নি। অথচ এই রেফারি কী বিপুল বিক্রমে উরুগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি দিয়েছিল। যেটা সহজেই রুখে দিয়েছিল সান্দ্রো রশেট। শেষের দিকে খেলা হয় ঘানার বক্সেই। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে উরুগুয়ে। এডিনসন কাভানির দারুণ একটি প্রচেষ্টা বাঁচায় ঘানার গোলকিপার। তার পরও ২-০ স্কোরে সন্তষ্ট ছিল উরুগুয়ে।
শেষের ১০ মিনিট আগে বাইরে চলে যাওয়া সুয়ারেজ জানতে পারে কোরিয়া আরও একটা গোল দিয়েছে এবং তারা জিততে চলেছে। তখন চিৎকার করে সবাইকে উঠে খেলতে বলে। ডাগ আউটে বসে তার সেই আকুতি যেন বিদ্যুৎচমকের মতো কাজ করে। মুহূর্মুহ আক্রমণ শানায় উরুগুয়ে। কাজ হলো না। ‘পর্তুগাল ইচ্ছা করে গোল সংখ্যা বাড়াল না’ এটা বলতে ভালো লাগছে না। হয়তো তারা চেষ্টা করেছে। পারেনি। হয়তো ডিফেন্সের ভুলে দ্বিতীয় গোলটা খেয়েছে। আবার উরুগুয়ে চাইলেই তো আর মিনিটে-মিনিটে গোল করতে পারে না, না? তার পরও শেষ বাঁশি বাজার আগে শেষ সুযোগটাও হারায় দুর্বল শটের কারণে। সোজা কিপারের হাতে। না, হলো না। সুয়ারেজের শেষ বিশ্বকাপ রঙিন হলো না। ওর কান্নাটাই বড্ড বড় হয়ে বাজল। আর এত দূরে বসে আমার মনে হলো-বাকি ম্যাচগুলো দেখলে বা না দেখলে তেমন কোনো কিছু যাবে-আসবে না। আসলেই আসবে-যাবে না। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট