শিরোনাম
◈ সমৃদ্ধ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে কমনওয়েলথ: ঢাকায় আসছেন মহাসচিব ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ ◈ স্নাইপার সাফারি: অর্থের বিনিময় মানুষ গুলি করার ‘খেলা’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিন দশক পর (ভিডিও) ◈ রামপুরায় টিভি ভবনের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও) ◈ নিউইয়র্কে পা রাখলেই গ্রেপ্তার করা হবে নেতানিয়াহুকে: হুঁশিয়ারি জোহরান মামদানির ◈ পল্লবী থানার সামনে পরপর তিন ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে পালালো দুর্বৃত্তরা—আহত ৩ ◈ সাবেক আ.লীগ সরকারের ৩৩২ কোটি টাকায় রোজ গার্ডেন কেনা নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক ◈ বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা ◈ ভোটার কার্ড করেন ৩০ হাজার টাকায়, পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক ◈ গণভোট প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর জিজ্ঞাসায় সিইসির জবাব: ‘আইন ছাড়া সম্ভব নয়’

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৩:৩৩ রাত
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৩:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিভিন্ন মত, পথই সামাজিক ও মানসিক বিকাশের প্রধান শর্ত

আহসান হাবিব

আহসান হাবিব: কোনোকিছুর সংজ্ঞায় পৃথিবীর সব মানুষ এক হয়েছে, এমন দৃষ্টান্ত বিরল। যেমন ধরুন, শিল্প কাকে বলে কিংবা মন- এর উত্তরে সব মানুষ আলাদা আলাদা উত্তর দেবে। সম্ভবত এটাই মানুষের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। কিন্তু এই সৌন্দর্য নিছক সৌন্দর্য নয়, এর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে মানুষের চিন্তার চাবিকাঠিটি। মানুষের ভাবনার সরলতা কিংবা গভীরতা, দার্শনিক অবস্থান ইত্যাদি। যেমন একদল বললো মন হচ্ছে এমন একটি অধরা অনুভব যা বাইরে থেকে বস্তুর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, আবার একদল বলছে মন আসলে ইন্দ্রিয়ানুভূতি যা বস্তু থেকেই আসে। এই যে চিন্তার বিভক্তি- এটাই মানুষকে মোটাদাগে দুভাগে ভাগ করে ফেললো। এই ভাগ হয়ে পড়াতেই বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটলো না, বরং এটাই পরস্পরের বিরুদ্ধে সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠলো। মানুষের ইতিহাস তাই মতাদর্শিক লড়াইয়ের ইতিহাস।

শিল্পকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়? আমার মত হচ্ছে শিল্প হচ্ছে সেটাই যার ভেতর দিয়ে গেলে মানুষ বদলে যায়। এই বদল মানসিক উৎকর্ষের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু সব বদল কি উৎকর্ষের দিকে যায়? যায় না। যেমন কেউ যদি একটি অসাধারণ সিনেমায় দেখা একজন সিরিয়াল কিলার হতে চায়, তাহলে কি তা শিল্পজাত উৎকর্ষের উদাহরণ হলো? হলো না। তাহলে শিল্পকে কে কেমন করে গ্রহণ করছে, তার উপর নির্ভর করছে উৎকর্ষের মানদণ্ডটি। 

এটাকেই উদাহরণ হিসেবে একদল হয়তো বললো শিল্প বদল ঘটায় কিন্তু তা সবসময় উৎকর্ষের দিকে ধাবিত হয় না। এমন হয়েছে বিখ্যাত কোনো বই পড়ে কেউ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। শিল্প কি করে তা নিয়ে হয়তো খুব মতভেদ নেই, কিন্তু যা করে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। এইভাবে সবকিছুর সংজ্ঞাতেই ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। মতের এই বৈচিত্র্য সৌন্দর্য নির্মাণ করে কিন্তু তা সংঘর্ষের পথকেও খোলা রাখে। সুন্দরের সংজ্ঞা কি? এর উত্তরে পৃথিবীর কোনো মানুষ একমত নয়। সবাই সৌন্দর্যকে দেখে নিজের মতো করে। কোথা থেকে আসে এই মত? আসে জীবন যার ভেতর দিয়ে যায়, তার উপাদানসমূহ থেকে। প্রতিটি মানুষের জীবন আলাদা, অভিজ্ঞতা আলাদা, পৃথিবীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তাই আলাদা হয়ে পড়ে। যে কোনো ধারণা তাই অর্জিত দৃষ্টিভঙ্গির ফসল। ইনফ্যাক্ট বিভিন্ন মত এবং পথই সামাজিক এবং মানসিক বিকাশের প্রধান শর্ত। থাকুক এই বৈচিত্র্য, থাকুক লড়াকু বাসনা। লেখক: ঔপন্যাসিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়