মোহাম্মদ এ আরাফাত: [২] যারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায় তাদের পরিবার বাংলাদেশি মুদ্রায় টাকাটা পেয়ে যায় বটে, কিন্তু ডলারটা বাংলাদেশে ঢোকে না, পাচার হয়ে যায় অন্য দেশে। কাজেই হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো এবং অর্থ পাচার করা একই কথা। [২] যারা বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে, তারাও দেশ থেকে ডলার পাচার করে না, তারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকার পাচার করে। অর্থাৎ হুন্ডির কারণে যে ডলারটা বাংলাদেশে ঢোকার কথা ছিল সেটা আর ঢোকে না। (১) এবং (২) এই দুই এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
কিছু কিছু ব্যবসায়ী অবশ্য মিস ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ডলার পাচার করে। হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা পাঠালে হয়তো ১০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। যাহা কিছু অবৈধ সেখানে লাভ একটু বেশিই থাকে। বাস্তবতা হলো দেশপ্রেমের দাম, ১০ টাকার কম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশপ্রেমের বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে, অন্যদিকে বাস্তবে ১০ টাকায় দেশপ্রেম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমি এখানে কাউকে দোষ দিই না, কারণ এটাই বাস্তবতা!
আরেকটা বাস্তবতা হলো, অন্যের দুর্নীতিকে সমালোচনা করবো, কিন্তু নিজের দুর্নীতিকে কুতর্কের মাধ্যমে গোঁজামিল দিয়ে জায়েজ করার চেষ্টা করবো!
সত্যি কথা হলো, সুযোগের অভাবে বহু মানুষ সৎ থাকে, কিন্তু সুযোগ থাকার পরও যিনি সৎ থাকেন তিনিই আসল সৎ। গত এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৭.৮ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। লেখক: চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন