মোরশেদ শফিউল হাসান: মুক্তিযুদ্ধের চিকিৎসা ইতিহাস সম্পর্কে একটা বইয়ের পান্ডুলিপি পড়তে গিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় জানতে পারলাম। অন্তত আমার কাছে তথ্যটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় (স্বাভাবিকভাবেই ভারতের কোনো হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুর আগে তাঁদের শেষ ইচ্ছার কথা সাধারণত ডাক্তার কিংবা সেবাদানকারী নার্সদেরই বলে যেতেন। আর তাঁদের প্রায় সবাই যে-তিনটি বিষয়ে আকুতি জানাতেন তা হলো : (১) তাঁর মাকে যেন তাঁর মৃত্যু সংবাদটি পৌঁছানো হয় ; (২) তাঁর লাশটা যেন দেশের মাটিতে নিয়ে কবর দেওয়া হয় ; এবং (৩) তাঁর কবরে যদি কোনো সমাধি ফলক স্থাপন করা হয়, তা যেন বাংলায় লেখা হয়।
বাস্তব কারণেই মুক্তিযুদ্ধের অনেক শহীদের বেলায় এই সবকটি আকাক্সক্ষা হয়তো পূরণ করা যায়নি। তবে এর মধ্যে দিয়ে মা, মাটি (অর্থাৎ মাতৃভূমি) এবং মাতৃভাষার প্রতি তাঁদের যে টান ও অঙ্গীকার প্রকাশ পেয়েছে, এক কথায় তা অতুলনীয়। দেশপ্রেম বলুন কিংবা স্বাধীনতার চেতনা, এই তিনটি বিষয়কে বাদ দিয়ে তো নয়!
আপনার মতামত লিখুন :