শিরোনাম
◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে? ◈ মর‌ক্কোর স‌ঙ্গে প্রী‌তি ম্যাচ খেল‌তে চায় বাংলাদেশ, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রস্তাব ◈ অ‌ক্টোব‌রে বিপিএলের ড্রাফট, নতুন করে চার ভেন্যুর অডিট হবে  ◈ ঢাকার বিদেশ মন্ত্রণালয় কার্যত অভিভাবক শূন্য!

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৩:৩০ রাত
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৩:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা কী?

শামসুদ্দিন পেয়ারা 

শামসুদ্দিন পেয়ারা: মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরি আছে। [১] যারা যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হয়েছেন। [২] যারা যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর সাথে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। আক্রমনে অংশ নিয়েছেন। [৩] যারা যুদ্ধে আহত হয়েছেন। [৪] যারা যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়েছেন। ট্রেনিং নিয়েছেন। টিমের সদস্য হিসাবে সশস্ত্র অবস্থায় কোনো এলাকার দায়িত্ব নিয়ে পুনরায় দেশে প্রবেশ করেছেন ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। [৫] যারা দেশের ভেতরে থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন এবং ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে শত্রুর মোকাবেলা করেছেন। [৬] যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন। [৭] আওয়ামি লিগ বা ছাত্র লিগ করার অপরাধে যাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। [৮] আওয়ামি লিগ বা ছাত্রর লিগ করার অপরাধে যাদের পরিবার সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। [৯] যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থেকে তাদের পথপ্রদর্শনের দায়িত্ব পালন করেছেন। আক্রমন ও আত্মগোপনে সহায়তা করেছেন। [১০] যারা ট্রেনিং নিয়েছে, কিন্তু নানা অছিলায় দেশে ঢোকেনি। যুদ্ধকরেনি। সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে। [১১] সেইসব আওয়ামি লিগ ও ছাত্র লিগের নেতা কর্মীরা যারা যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত সক্রীয় ছিল, কিন্তু যুদ্ধের ভয়াবহতায় ভড়কে গিয়ে নয় মাস ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। যুদ্ধ শেষ হবার পর আবার নেতা সেজে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। [১২] যারা পাক মিলিটারির হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে ভারতে চলে গিয়েছিল। থিয়েটার রোডের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতো। স্বাধীনের পর সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। [১৩] যারা ভারতে গিয়েছিল। শরণার্থী শিবিরে রেশন খেয়েছে। আসম রব ও চার খলিফার গুষ্টি উদ্ধার করেছে। তাস খেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের কোনখোঁজ খবর রাখেনি। স্বাধীনের পর এসে দলবেঁধে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে।

[১৪] যারা শরণার্থী শিবিরেও যায়নি। আওয়ামি লিগের ছায়াও মাড়ায়নি। সোজা মাসির বাড়ি পিসির বাড়ি চলে গেছে। মহানন্দে সময় কাটিয়েছে। ফিরে এসে সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। [১৫] যারা স্বাধীন বাঙলা বেতার কেন্দ্রে চাকুরি করেছেন। গান গেয়েছেন, তবলা বাজিয়েছেন, কথিকা পাঠ করেছেন। ফিরে এসে কয়েক বছর ঘোরাঘুরি করে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পেয়ে হতাশায় ভুগে শেষমেশ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। [১৬] শেখ হাসিনার আমলে ষাটোর্ধ্ব বয়সী প্রায় সকল প্রভাবশালী আওয়ামি লিগার। [১৭] যারা বয়স্ক, আওয়ামি লিগার, প্রভাবশালী মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য, কিন্তু যুদ্ধের সময় রাজাকারি করেছেন অথবা সে সময় চাকুরি বাকুরি ব্যবসাবানিজ্য সবকরেছেন, তারা তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের চাইতেও বড় ও গুরুত্বপূর্ন একটি পদ নিজেরাই নিজেদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সেটার নাম হলো: মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মুক্তিযোদ্ধাদের চাইতে এখন এদের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। ভাতাও পায়।এদের মর্যাদাও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অনেক উপরে। [১৮] ভোলপাল্টানো পাকহানাদারদের সহযোগি সরকারি কর্মকর্তাদের যারা স্বাধীনতার পরে আওয়ামি লিগ হয়ে সার্টিফিকেট হাতিয়ে নিয়েছে, তারা। [১৯] যারা প্রশাসনিক ক্ষমতার বলে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নিজের নাম নিজেরা অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। [২০] যারা ভাতা চালু হবার পর তাড়াহুড়া করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করিয়ে নিয়েছে। [২১] যারা এখনও নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করিয়ে চলেছেন। 

[২২] ১৯৫৭ সালের পর জন্ম নেয়া লক্ষাধিক ব্যক্তি যাদের বয়স ১৯৭১ সালে ১৪ বছরের কম ছিল, এবং [২৩] সেই ২০০০ অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ভবিষ্যবিহারী মহাযোদ্ধাগণ যারা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৭১ সালে জন্মের পূর্বে মাতৃগর্ভ থেকেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তাদের ভবিষ্যত জন্মভূমিকে স্বাধীন করে অতঃপর শত্রুমুক্ত স্বাধীন বাঙলাদেশে ভুমিষ্ঠ হন। আমার দৃষ্টিতে ২৩ নং সিরিয়ালের অন্তর্ভুক্তরাই একমাত্র ও আসল মুক্তিযোদ্ধা। ঐ ২০০০ জনের জন্য গুলিস্তান এলাকায় একটা দর্শনীর বিনিময়ে সার্কাসগৃহ নির্মানের প্রস্তাব দিলাম, যাতে করে বর্তমান ও আগামি প্রজন্ম ‘জন্মপূর্ব’ (মরণোত্তরের বিপরীত) মুক্তিযোদ্ধারা দেখতে কেমন, কি করে তারা মাতৃজঠরের বাঙ্কার থেকে দুর্ধরষ ও মানবতাবিবর্জিত নিষ্ঠুর পাকিস্তানি সৈন্যদের অস্ত্রসমর্পনে বাধ্য করেছিলেন, সে সম্পর্কে চাক্ষুস জ্ঞান লাভ করতে পারে। হে বাঙলাদেশের সরকারসমুহ, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জনপ্রিয়তা ও মিথ্যার রাজনীতি করতে করতে তোমরা পদে পদে মুক্তিযুদ্ধকে কতভাবেই না অপমানিত লাঞ্ছিত পদদলিত ও জনসমক্ষে হাস্যকর প্রতিপন্ন করে চলেছ। ধিক তোমাদের এই নীতিবর্জিত সুবিধাবাদী ঘৃণ্য রাজনীতি। তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও। এই অপরাজনীতি চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়