শিরোনাম
◈ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ, কাল বিক্ষোভে নামছে এনসিপি (ভিডিও) ◈ ধর্মীয় সম্প্রীতির নামে সংঘাত, স্বর্ণমন্দিরে হামলা অভিযোগ নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনার ঝুঁকি ◈ পশ্চিমবঙ্গের আত্রাই নদীতে বাঁধ ধসে বিপাকে স্থানীয়রা, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে ◈ আইন নিজের হাতে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপির সতর্কবার্তা ◈  ‘মব’ সন্ত্রাস বাড়ছে, পুলিশও মবের শিকার, অপপ্রচারে বিভ্রান্ত জনগণ ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ◈ স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন  ◈ স্টারলিংকের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের প্রবেশ করলো বাংলাদেশ, ডেটা ব্যবহারে কোনও সীমা বা লিমিট নেই ◈ বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফ্লাইট বৈরী আবহাওয়ার কার‌ণে ফি‌রে গেলো কলকাতায় ◈ সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: মির্জা ফখরুল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২৫, ১১:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২১ মে, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি—ফেসবুক পোস্টে দাবি আমান আযমীর, ‘তারবার্তার’ প্রসঙ্গকে বললেন মিথ্যা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আজমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, ‘শেখ সাহেব তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন’ এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

২৫ মার্চ একাধিক বিদেশি টিভি চ্যানেলের কাছে সুস্পষ্টভাবে তিনি বলেছেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চান না’।

মঙ্গলবার (২০ মে) নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের পুরো মন্তব্যটি পাঠকদের জন্য দেওয়া হল: 

‘প্রসঙ্গ: স্বাধীনতার রূপকার’ শিরোনামে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন,

একথা সবাই জানেন যে, শেখ সাহেব অখন্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন দেশ তিনি গড়তে চান নি। কেউ তা প্রমাণ করার মত কোন দলিল দিতে পারবেন না। শেখ সাহেব ২৩শে মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সাথে আলোচনা করেছেন। ২৫শে মার্চ একাধিক বিদেশী টিভি চ্যানেলের কাছে সুস্পষ্টভাবে  তিনি বলেছেন, 'তিনি স্বাধীনতা চান না'। 

২৬শে মার্চ ১৯৭১, ততকালীন মেজর জিয়া (পরবর্তীতে সেনাপ্রধান  ও রাষ্টপতি) চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে "স্বাধীনতার ঘোষণা" দেন। আওয়ামী লীগ দাবী করে শেখ সাহেব তারবার্তা পাঠিয়ে ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দেয়, যার স্বপক্ষে কোন শক্ত দলিল নেই। শেখ সাহেব জীবিত অবস্থায় এই দাবী করেছেন বলেও কোন প্রমাণ নেই। এছাড়া, একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, ২৫শে মার্চ পাকবাহিনী "অপারেশন সার্চ লাইট" শুরু করার অনেক আগেই সকল বেতার ও টেলিফোন ভবণ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বলে শেখ সাহেব চাইলেও "স্বাধীনতার ঘোষণা" চট্টগ্রামে পাঠানো সম্ভব ছিলনা।

আরো হাস্যকর ব্যাপার হলো, ২৫শে মার্চ রাতে শেখ সাহেব কি করে জানতেন যে ততকালীন মেজর জিয়া, ৮ ই বেংগল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক, উর্দুভাষী অধিনায়ককে হত্যা করে ব্যাটালিয়ন নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন? সুতরাং "শেখ সাহেব তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন" এই দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা। এদিকে, আওয়ামী লীগের সব নেতারা ভারতে পালিয়ে যাবার পর, ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ তাজউদ্দীন সাহেব সম্পূর্ণ এককভাবে "৫ (পাচ) সদস্যের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠণ হয়েছে" বলে ভারতের ততকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে জানিয়ে তার সাহায্য কামনা করেন, যদিও তখনো পর্যন্ত  আওয়ামী লীগের একজন নেতার সাথেও উনার দেখা বা কথা হয়নি।

সুতরাং, কাউকে স্বাধীনতার রুপকার আদৌ বলা যাবে কিনা তা গবেষণার বিষয়। তবে, শেখ সাহেবের ৭ই মার্চ এর ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে ক্যাটালিস্ট এর মত কাজ করেছে। কার নেতৃত্ব স্বাধীন হয়েছে এটাও একটা বড় প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিবেচনায় তাজউদ্দীন সাহেবের নেতৃত্বই ১৯৭১ সালে মূল ভূমিকা পালন করেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যান্য নেতাদের কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকাই ছিলনা। সকল বিষয় বিবেচনা করে, আমার বাবা শেখ সাহেবকে স্বাধীনতার "স্থপতি" বলেছেন। আমার মূল্যায়নে এটাই সবচেয়ে যুক্তিসংগত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়