শিরোনাম
◈ যদি কিন্তু ছাড়াই আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ অনিশ্চয়তায় ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর ◈ বিচার চলাকালীন আইন করে আ. লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে: নাইদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ফজলুর রহমানের বক্তব্য সরকার সমর্থন করে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ আদানির বকেয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়েছে বাংলাদেশ ◈ অপতথ্য ছড়াতে আ.লীগ সহায়তা করছে ভারতীয় মিডিয়াকে: প্রেস সচিব ◈ ফারাক্কা ব্যারাজ চালুর ৫০ বছর: পদ্মাসহ বাংলাদেশের নদনদীতে কী প্রভাব পড়েছে? ◈ আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ: জড়ো হচ্ছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা, মঞ্চে বক্তব্য শুরু ◈ অতিদ্রুত আ. লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ◈ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মিনি আয়নাঘরের সন্ধান, উঠে এল নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ১২:৩৯ রাত
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালুর কারণ

ফজলুল বারী: মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালুর কারণ ছিলো একাত্তরে ৯৯ ভাগের বেশি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ঘর পালানো ছেলে, চাষী, শ্রমিক, মুটে-মজুর। অনগ্রসর। তাদের পরিবারগুলোও ছিল অনগ্রসর জনগোষ্টীর। যুদ্ধে তারাই শহীদ, পঙ্গু হয়েছেন বেশি। তখনও সমাজের কথিত মেধাবী ফার্স্ট বয়রা গণহারে যুদ্ধে যায়নি। তাদের পরিবারগুলোও পাকিস্তানিদের সাথে ভাব জমিয়ে চলেছে। অনেকে ইসলামী ছাত্র সংঘের আলবদর আলসামস বাহিনীতে যোগ দেয়। ভারতে শরণার্থী হয়ে যাওয়াদের মধ্যে সীমিত সংখ্যক প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে চালাক চতুররা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নেয়। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাও সেজেছে কথিত মেধাবীরা। 

এখন যারা আমিও মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম, তাই আমিও কোটার বিরোধী বলে যারা বাণী দেন তাঁরাও সুবিধাভোগী। কর্নেল অলিরা সেনাবাহিনীর সুযোগ-সুবিধা জিয়ার মন্ত্রিত্ব ভোগ করেছেন। আ স ম আব্দুর রবরা হয়েছেন এরশাদের বিরোধী দলের নেতা। জিয়ার কাছে এরশাদের কাছে এরা মাথা বিক্রি করেছেন। এদের দাপটে আগের মতো এখনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো হয়ে পড়ে দয়ার পাত্র। অনগ্রসর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে সমর্থন দিতে চালু হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটা। এখনো তারা অনগ্রসর বলে ভাতা দিতে হয়। বানাতে হয় বীরনিবাস। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে যারা দুর্নীতি করে তাঁদেরও বেশিরভাগ কথিত মেধাবী। 

এসব কথিত মেধাবীর কদর্য চেহারা গত করোনা মহামারীর সময় দেখা গেছে। গরিব মানুষজনকে তারা পথেঘাটে কানধরে ওঠবস করিয়েছে। অফিসে আদালতে তাদের স্যার না ডাকলে ক্ষেপে গিয়ে দেশের মালিক আমজনতার সঙ্গে তারা দূরব্যবহার করে। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে কথিত মেধাবীদের ধারণা প্রকাশ পেয়ে গেছে কথাবার্তায়। দেশ যাঁদের জানবাজির যুদ্ধে স্বাধীন হয়েছে তাদের যেন তারা দয়া করতে চাইছে। ২০১৮ সালের অভিজ্ঞতায় ধরা পড়েছে এরা বড়জোর বিকাশ নুরু হয়। 

টাকায় ফাঁস হওয়া বিসিএস প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়ে এইম ইন লাইফ করে বেনজীর হওয়া। আর সুযোগ পেলে আমজনতাকে কান ধরে ওঠবস করিয়ে দেখায় ঔদ্ধত্য। কাজেই এই সুযোগে উচ্চ আদালতকে নিশ্চিত করতে হবে ন্যায়বিচার। কোনোক্রমেই মুক্তিযোদ্ধার কোটা বাতিল নয়, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাজার মূল্য অনুসারে সবসময় আপডেট করার নির্দেশ তাদের দিতে হবে। বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে, ততোদিন থাকবে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর জন্য কোটাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়