শিরোনাম
◈ চার দশক পর জাতিসংঘের মঞ্চে নেতৃত্বের দৌড়ে বাংলাদেশ ◈ ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় গাজায় নিহত ছাড়ালো ২৫০ ◈ এক চাকা খুলে পড়া অবস্থায়ও প্রথম চেষ্টায় অবতরণ: উত্তেজনাপূর্ণ শেষ ৩ মিনিটে কী আলোচনা করেছেন পাইলট ও এটিসি ◈ ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদ: মঈন খান (ভিডিও) ◈ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যে ৮ জেলায় সকালের মধ্যে ঝড় হতে পারে ◈ তিন ধাপে জালনোট তৈরির ভয়ংকর ফাঁদ (ভিডিও) ◈ ‘শয়তানের নিঃশ্বাসে’ সম্মোহিত: আত্মীয় সেজে প্রবাসীর সর্বস্ব লুটে নিলো প্রতারক নারী (ভিডিও) ◈ জবি আন্দোলনে আলোচিত দিপ্তী চৌধুরী (ভিডিও) ◈ সব দলের রাজনীতি এখন আ.লীগের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২৪, ০১:০১ রাত
আপডেট : ১৩ জুন, ২০২৪, ০১:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘরের শত্রু বিভীষণ! 

পাভেল রহমান

পাভেল রহমান: ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায়। বন্যা কাভারেজে প্রথমে সিরাজগঞ্জ ছিলাম। ২০০৭ সালের অগস্টের ১০ তারিখে আমার সাথে ছিলেন একজন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার। তিনি তখন কর্মহীন। বেকার বসে বসে বোর হচ্ছেন। তিনি যেহেতু বেকার বসে আছেন আমার সাথে গেলে আমিও একজন সঙ্গী পাবো, তারও সময় কাটবে। আমার সাথে রুম শেয়ার, খাবার শেয়ার, গাড়ি শেয়ার। কোনো খরচ নেই তাঁর, বরং ভালো লাগবে, আড্ডা হবে। আর সে কারণেই তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিলাম সঙ্গী করে। যদিও আমার সাথে নাভানা ইয়োলো ক্যাব চালক আমীর হোসেন আছেন। তিনি যেহেতু দীর্ঘদিন আমাকে নিয়ে ছুটে বেড়ান এসাইনমেন্টে সেহেতু তিনি আমার যথেষ্ট কেয়ার করেন। নৌকায় ওঠার সময় লাইফ জ্যাকেট পানির বোতল ড্রাই ফুড, নিদনপক্ষে আমার প্রিয় কলা বিস্কুট সবই তাঁর দেখার বিষয়। দুদিন কাভারেজে ভালোই স্কোর আমার। আন্তর্জাতিক দুনিয়া সিরাজগঞ্জ বন্যা আমার গ্রিপে। দিল্লি, টোকিও, লন্ডন অফিস হ্যাপি, কিন্তু আকস্মিক দিল্লির এপি অফিসের ফোন। যদিও টেক্সট ম্যাসেজ মিনিটে মিনিটে তো যোগাযোগ আছেই। জরুরি কোনো কথা হলে ফোন করেন আমেরিকান ফটো এডিটর। এডিটর জানতে চাইলেন, ‘এই ট্রিপে আর কে আছে ফ্লাড কাভারেজে তোমার আশপাশে’? আমি নিশ্চিন্তে বললাম, আমি একা। কিন্তু তিনি আবারও জানতে চাইলেন। আমি একটু বিব্রত হলাম। কেন আবারও জানতে চাইলেন? কারণ আমার চোখে তো কাভারেজের জন্য আর কোনো প্রেস ফটোগ্রাফার দেখছি না। তিনি বললেন, ‘তুমি শিউর’? বললাম, নিশ্চয়ই। পর মুহূর্তে তিনি কটা ছবি পাঠালেন। আমার চোখ ছানাবড়া।

এ কী? এ যে আমারই পাশের ফ্রেম? একই স্পট একই সাবজেক্ট। আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে। আমার অপনেন্ট আমারই সঙ্গে? আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে পাঠিয়েছে আমারই অপনেন্টের কাছে। কিন্তু কী করে সম্ভব? আমার মাথা ঘুরতে থাকে। আমি যাকে সঙ্গে এনেছি তিনি তিনি আমার শত্রু? আমার সাথে আমারই খাবার শেয়ার করে আমারই রুম শেয়ার করে আমারই গাড়ি শেয়ার করে? আমি তাঁর দিকে তাকাতে পারি না। কী করবো বুঝতে পারি না। এতো রাতে তাঁকে কি রুম থেকে বের করে দেবো? কোথায় যাবে সে রাত গভীরে? ওহ গড, আমি ভাবতে পারি না। শেষ পর্যন্ত আমরই খেয়ে আমারই ঘরে ঘুমিয়ে আমারই গাড়িতে চড়ে আমারই বিরুদ্ধে আমারই অপনেন্টকে আমারই শত্রুকে ছবি পাঠালো? পরদিন তাঁকে রুমে রেখে আমি একাই বেড়িয়ে গেলাম কাভারেজে। একাই বোট নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম কাজীপাড়ার দিকে। এভাবেই কাটালাম আরও দুই দিন। ঢাকা ফেরার সময় সাথে করে নিয়ে এলাম ঘরের শত্রু বিভীষণকে। Ñপাভেল রহমান। ধানমণ্ডি, ঢাকা। ১২ জুন ২৪। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়