শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২৪, ০২:৩৮ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২৪, ০২:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শখের গরিবিয়ানা, আমার শার্ট ও দোকানে বাকি 

আফসান চৌধুরী

আফসান চৌধুরী: আমাদের বন্ধু ও সহ কর্মী আনিস আলমগীর আমার  শার্টের  পিছে লাগছে। আমার শার্ট এর আগেও আক্রমণের শিকার হয়েছে নানা জনের কাছে। আমার দুইটা পরা শার্ট আছে। বয়স বছর ৮-১০। অতএব ঝুরঝুরে তো হবেই। আমার কিছু এসে যায় না, একটা পড়লেই হলো। ওটা মাথাটা খাটাবার জায়গা না, তাই পাত্তা দিই না। [১] তবে কিনা এই মুহূর্তে আলমারিতে আমার প্যান্ট আছে ৩টা, শার্ট ৫টা। শার্ট দুইটা। প্যান্টের মধ্যে দুইটা দিয়েছে পাপ্পু। এই প্যান্ট দেওয়ার লাইনে সে অনেক এক্সপার্ট। একটা আমি বানিছিলাম বছর ৬ আগে, বাকি তার গিফট। ...২ শার্ট ও ১ প্যান্ট দিলো। আমার পরা শার্ট  দিয়েছে মুশফিকা, না পরা সে, ইউনূস। আরো কে কে। কেউ দিলে উঠিয়ে রাখি। তারপর ভুলে যাই। মনে পড়লে কাউকে দিয়ে দিই। কাপড়চোপড় আমাকে টানে না। এটা গরিবিয়ানা দেখানো না, স্রেফ, একটা হলেই হলো মেন্টালিটি। তবে শখের গরিবিয়ানা কি তার গল্প নিচে। 

[২] শরীফ মিয়ায় ক্যান্টিনে দুই টাকায় দুপুরে খাওয়া যেত। দুইটা পরোটা ১ টাকা, ১ প্লেট বুটের ডাল ১ টাকা। খুব ভালো খাওয়া। একদিন দেখি আমার এক কাছের বন্ধু, অসহায় হাসি নিয়ে ক্যান্টিনে বসে আছে। জানা গেলো তার ১০ টাকা বাকি, তাই শরীফ মিয়া খেপসে। বলসে, টাকা না দিয়া যাবেন না। ও যেই আসছে সবাইকে বলছে এই কথা বন্ধু। চারদিকে আহঃ উহু  হচ্ছে, শরীফ মিয়ার কাছে তদবির চলছে, বেশ রমরমা পরিবেশ। খালি পকেটের জন্য আটকে থাকা  কম না, গল্প -কথা জন্মায়। যাই হোক কি হলো শেষে জানি না। তবে পরের দিন আবার তাকে দেখা গেলো। বন্ধুটি খাদ্য রসিক ছিল, খাচ্ছে। বুঝলাম, পেমেন্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তার অর্থকষ্টের কথা নিয়ে চর্চা হওয়াটা সুখকর ছিল তার জন্য। তার অবস্থা কত ভালো জানতাম, তাই পাত্তা দিই নাই। অনেকটা আমরা ফাটা শার্টের মতো।
 লেখক ও গবেষক

 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়