মিরাজুল ইসলাম: বাংলাদেশে কতিপয় বুদ্ধিজীবী বা শিক্ষিত মহলে এখন স্বঘোষিত-অঘোষিত ‘স্বদেশি পণ্য কিনে হও ধন্য’ ঘরানার সামাজিক আলাপ চলছে। এটা এখনো সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক ব্যাপার। মূলত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ছলনা-পাশা খেলা-বুদ্ধিবৃত্তি-মাংসপেশী-অধিকতর উন্নত তরিকার দুর্নীতি-অত্যাধুনিক পররাষ্ট্রনীতি-আইনের মারপ্যাঁচ-অর্থনৈতিক বৈষম্য-চীন রাশিয়া উত্তর কোরিয়া থেকেও কার্যকর বাকস্বাধীনতা হরণ কৌশল-অমানবিক, কিন্তু মানবিক সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা-নতুন ঘরানার গণতন্ত্র... ইত্যাদি নীতির কাছে পরাজিত জনগণের একাংশ মনের জ্বালা এবং ক্ষোভ মেটাতে ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন।
আমার তো মনে হয়, শুধু ভারত নয়, তামাম বিশ্বের পণ্য বর্জন করে একমাত্র ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ আন্দোলন করতে পারা উচিত। যা আদৌ কি সম্ভব? কিংবা চীন-রাশিয়াও বাদ যাবে কেন? কিন্তু সবাই আবার আমেরিকা-ইউরোপ এবং তলে তলে ভারতের বন্ধু। এখন সেই বৃটিশ রাজের যুগ নেই। গান্ধীজী’দের ‘স্বদেশী আন্দোলন’ এই যুগে কিছুটা আলোড়ন তুললেও ধোপে তখনই টিকবে যখন এর পেছনে কোন বৃহত্তর পরাশক্তির ইন্ধন থাকবে। কিংবা আক্ষরিক অর্থে জনগন-নির্ভর রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পৃক্ততা নির্ভেজাল থাকতে হবে। আদারওয়াইজ গ্লোবাল পলিটিক্স ইজ টু মাচ ডিফিকাল্ট টু উইন অ্যালোন। দেখলেন তো, গত নির্বাচনে জনগণের একক শক্তির কি বিশাল অপচয় হলো। লেখক ও চিকিৎসক