আরিফ জেবতিক, ফেসবুক: ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডবের কথা মনে আছে? হেফাজতের সেই সমাবেশের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়েছিল বুয়েটের শহীদ স্মৃতি হলের ক্যান্টিনে। বুয়েটের বাবুর্চি দিয়ে, বুয়েটের ইনফাস্ট্রাকচার ব্যবহার করে সেই রান্না করা হাড়ি হাড়ি খিচুড়ি গিয়েছিল হেফাজতের সমাবেশে।
বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, ছাত্রলীগের আরিফ রায়হান দীপ এর প্রতিবাদ করেছিল। যে রেডিকাল চক্রটি এই হেফাজতকে সমর্থনে জড়িত ছিল, তাঁদের নামে সে পুলিশে রিপোর্ট করেছিল। পুলিশ এসে চক্রের নেতা হলের মসজিদের ইমাম ইমাম আব্দুল আলিমকে ধরে নিয়ে যায়।
এরপর থেকেই বুয়েট শিক্ষার্থীদের একটি ফেসবুক গ্রুপ ‘বুয়েটিয়ান’ একটা গ্রুপ দীপকে নিয়ে আজেবাজে লেখালেখি শুরু করে। অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে দীপকে হত্যার হুমকি দেয়া শুরু হয়।
হেফাজতের সমাবেশের ৪ দিন পর, ৯ এপ্রিল সকালে নজরুল ইসলাম হলের ছাত্র দীপকে হলে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে মাথায় ও পিঠে গুরুতর জখম হন দীপ। হাসপাতালে ৮৪ দিন কোমায় থাকার পরে ২০১৩ সালের ২ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন আরিফ রায়হান দীপ। আমার বলার কাহিনী এখানেই শেষ। এখন আমার একটা প্রশ্ন আছে।
আজ যারা ‘বুয়েটে রাজনীতি চাই না’ বলে হ্যাশট্যাগ মেরে বেড়াচ্ছেন, আপনারা কারা কারা সেদিন ‘বুয়েটে মৌলবাদী চক্র চাই না’ বলে হ্যাশট্যাগ দিয়েছিলেন, আমারে দেখান।
কারা বুয়েট হলে হেফাজতের রান্নাবান্নার প্রতিবাদ করেছিলেন, দেখান।
কারা দীপের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সিস্টেমেটিক আগ্রাসী অপপ্রচারের প্রতিবাদ করেছিলেন, দেখান।
যদি দেখাইতে পারেন, তারপর আমরা একসাথে বাকি আলাপ করব।