মনজুর এ আজিজ: হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ৬ মিলিয়ন (৬০ লাখ) ডলার অর্থ কীভাবে অনুদান দিয়েছেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তার এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ড. ইউনূসকে নিয়ে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা অনেক তদন্ত করেন। আপনারা একটু করেন না। একটা ব্যাংকের এমডি, আমাদের তো প্রায় ৫৪টা প্রাইভেট ব্যাংকের এমডি আছে। কার এত আর্থিক সঙ্গতি আছে যে একজন এমডি একটা ফাউন্ডেশনে এত ডলার দিল?
এর আগে জাতীয় সংসদে ড. ইউনূসের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন সরকারদলীয় এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, একজন ডাক্তার আছে। নাম হইল ডক্টর ইউনূস। উনি পশুর ডাক্তার না মাছের ডাক্তার না গরুর ডাক্তার না বাংলাদেশের মানুষের সর্বনাশের ডক্টর? উনি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। যত অশান্তি উনি বাংলাদেশে ঘটাবার জন্য এই পর্যন্ত যা করছে, বাংলাদেশের পায় পয়সাও উন্নতি করে নাই, ভালো করে নাই, বরং ক্ষতি করে গেছে।
অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, আমি অর্থমন্ত্রীকে বলব, উনি (ড. ইউনূস) যে ছয় মিলিয়ন (৬০ লাখ) ডলার ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে দিয়েছে, ওই টাকা উনি কোত্থেকে দিল, এইটা আপনি তদন্ত করেন।
ড. ইউনূস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন বলে ২০১৬ সালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে, তবে তিনি কী পরিমাণ অর্থ ফাউন্ডেশনে দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান আরও বলেন, আগে নিজেরা বের করেন বাংলাদেশের কোন ব্যাংকে কত আছে। বিশাল বিশাল চেক, একটা ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট করে ট্রাস্টের টাকা একটা প্রাইভেট ব্যাংকে চলে যায় কীভাবে? এক চেকে ৬ কোটি টাকা তুলে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। আমরাও একটা ট্রাস্ট চালাই, কিন্তু সেখান থেকে ব্যক্তিগতভাবে টাকা তোলার রাইট আমার নেই। আমি ট্রাস্টের চেয়ারপারসন, কিন্তু আমি তুলতে পারব?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশিদিন আগের কথা না। ২০২০ সালের কথা। চান তো তারিখ, অ্যাকাউন্ট নম্বর সব আছে। সে কথা বলতে চাই না। আপনারা বের করেন। এত স্বনামধন্য বিখ্যাত ব্যক্তি, আমরা তো লেখাও জানি না, পড়াও জানি না, কিছুই জানি না। আমাদের তো এত বলা শোভা পায় না, তাই না? এত জ্ঞানী তো না। সাধারণ একটা মানুষ। নিরেট বাঙালি একটা মেয়ে। তাও আবার বাংলায় পড়ছি; বাংলায় পাস করছি।
আপনার মতামত লিখুন :