এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ইং দিন ধার্য করেছেন।
[৩] রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী ‘আমাদের নতুন সময়’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের দাবি মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে তারা সক্ষম হয়েছেন এবং সবোর্চ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশা করছেন।
[৫] এ মামলায় মির্জা আব্বাস নিজের পক্ষে নিজেই সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাছাড়াও কয়েকজন ব্যাংক কর্মকতৃা ও চার্টাড একাউনটেন্ট তার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।
[৬] মির্জা আব্বাস তার সাফাই সাক্ষ্যতে বলেন,তিনি ধনাঢ্য পরিবার থেকে এসেছেন। তাকে বাঁকা পথে তার সম্পদ অর্জন করতে হয়নি। তাঁর চাচা শহীদের নামে ঢাকার শহীদবাগের নামকরণ করা হয়। ঢাকার বিখ্যাত মাজেদ সরদার তার এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্নীয়।তার চাচা বিডি মেম্বার ও পাকিস্তান আমলে ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রাজনীতিতে চাচার হাত ধরেই তার প্রবেশ। তার নানার কাছ থেকে তার বাবা এবং তিনি ঢাকার খিলগাও রেলগেট থেকে রাজারবাগ পযন্ত পুরো এলাকার জমির মালিকানা পান। পরবর্তীতে মির্জা আব্বাস রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের “জাগো দল”এ যোগ নেন এবং তারও পরে “বিএনপি”তে। পরে ১৯৭৬ সনে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১ বছর পরে ১৯৭৭ সনে তিনি সিটি করপোরেশনের কমিশনার নির্বাচিত হন।তারো অনেক পরে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
[৭]আর আব্বাসের পক্ষে ঢাকা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেলও তার পক্ষে সাক্ষ্য দেন। তারা আদালতে বলেন, তিনি ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পেয়েছেন। বোনাস এবং ডিভিডেন্ট শেয়ার হিসাবে ঢাকা ব্যাংকের অংশীদার হন।
[৮] জ্ঞাতআয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
[৯] অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। এদিকে মির্জা আব্বাস তার অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ইং লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করলে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ইং রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান
এমএএল/কে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :