বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] কানাডাকে একই অভিযোগে সম্প্রতি অভিযোগ করেছে ভারত। একইসঙ্গে কানাডায় অবস্থানকারী ভারতে দন্ডপ্রাপ্ত ৪৩ জনের একটি তালিকাও দিয়েছে কানাডা সরকারকে।
[৩] বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশ নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কানাডাকে বারবার অনুরোধ করেছে। কিন্তু কানাডা বারবার বাংলাদেশের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
[৪] ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ওপ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীর পরিবারের কানাডায় এ্যাসাইলামের আবেদন কোর্টে বাতিল হয়েছে। কিন্তু তাকে ফেরত দিচ্ছে না কানাডা।
[৫] রিপোর্টে বলা হয়, নূর চৌধুরী কানাডায় শান্তিতে একটি আধুনিক কন্ডো বিল্ডিংয়ের ৩ তলায় ফ্লোর কিনে বসবাস করছেন। ২০০৫ সালে তিনি ইটোবিকোতে এই ফ্লাটটি কিনেন।
[৬] ওপ ইন্ডিয়াতে এ বিষয়ে কথা বলেছেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধু হত্যাকন্ডে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি রয়েছে। এর মধ্যে কানাডায় রয়েছে নূর চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে রাশেদ চৌধুরী। তাদের দেশে এনে বিচার কার্যকর করার জন্য দেশ দুটিকে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা নানা ধরণের আইনি মারপ্যাচে খুনিদের ফেরত দিচ্ছে না। কিন্তু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে যে দেশে সেই দেশেই তাদের বিচার কার্যকর হবে এটি একটি সাধারণ আইন। কিন্তু এটি মানা হচ্ছে না।
[৭] খালিস্তান নেতা হরদ্বীপ সিং নিজ্জর কানাডায় নিহত হন। এই হত্যার সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
[৮] ভারত এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে ভারত অভিযোগ করেছে কানাডা তাদের দেশে সাজাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। সম্পাদনা: রাশিদ