মাসুদ আলম: [২] শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের দায় পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন, তার স্বামী, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়া গেছে। হারুনসহ শাস্তি হতে পারে ৫ পুলিশ সদস্যেরও। মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। কমিটি আরো ৭ দিনের সময় চাইলে কমিশনার ৩ দিন সময় অনুমোদন করেন।
[৩] তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনার তদন্তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
[৫] ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এদের মধ্যে পিটিয়ে নাঈমের ৮ থেকে ১০টি দাঁত ভেঙে ফেলা হয়। পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব