মনিরুল ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিন টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী মজুত খাদ্যশস্যের মধ্যে চাল ১২ দশমিক ২৫ মেট্রিন টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন এবং ধান ৯ হাজার মেট্রিক টন।
সংসদনেতা জানান, খাদ্য মজুত বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিন টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ মেট্রিন টন নির্ধারণ করা হয়েছে।
অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ৬ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে বলে জানান।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঁঙ্গার প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তোরণের ফলে ২০২৬ সালের পর থেকে ভারতে পণ্য রফতানিতে ডিউটি ফ্রি কোটা ফ্রি সুবিধা পাবে না। এতে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে ভারতের সঙ্গে (Comprehensive Economic Partnership Agreement (CEPA) সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি এখনও নেগোসিয়েশন পর্যায়ে রয়েছে। সিইপিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জিডিপি ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমআই/এসএইচ/একে