শিরোনাম
◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে?

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২২, ০৯:৪২ রাত
আপডেট : ০৯ আগস্ট, ২০২২, ১১:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাকরি খোয়ালেন এসপি আলতাফ

আলতাফ হোসেন

মিনহাজুল আবেদীন: [২] ১২০ ভরি সোনা উদ্ধারের পর বিষয়টি চেপে গিয়ে সোনা কারবারির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়েছিল পুলিশ। সাড়ে পাঁচ বছর আগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার এ ঘটনায় চাকরি হারিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন। প্রথম আলো

[৩] ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট অঞ্চলে দায়িত্বরত আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণের তথ্য জানিয়ে গত বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। আলতাফ হোসেন ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে পরের বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ছিলেন। তার দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক সোনা কারবারি আটক হন। তার কাছ থেকে ১২০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছিলো। পাটকেলঘাটা থানায় উদ্ধার করা সোনার জব্দ তালিকাও করা হয়েছিলো। যুগান্তর 

[৪] তবে পরে সোনা চোরাচালানের মামলা না হয়ে এ ঘটনায় মাদকের মামলা রেকর্ড করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসপি আলতাফ হোসেন স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনা মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাজানোর বিষয়টি জানা সত্ত্বেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অসত্য প্রতিবেদন পাঠান তিনি।

[৫] পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যাও নেওয়া হয়। পরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করেন। সেখানে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

[৬] আলতাফ হোসেনের জবাব পর্যালোচনা করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আলতাফ হোসেনের চাকরিচ্যুতির ওই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর (খ) অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বিধিমালার ৪(৩) গ বিধি মোতাবেক গুরুতর দণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়