শিরোনাম
◈ গাজা উদাহরণ টেনে বাংলাদেশকে ‘সবক শেখানো’র হুমকি, শুভেন্দুকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা ◈ ওসমান হাদি হত্যার মূল ২ আসামি ভারতে পালিয়েছে, মেঘালয়ে গ্রেপ্তার ২: ডিএমপি ◈ নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তন: তারেক রহমানের ফেরা কি রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত? ◈ রিটার্ন দাখিলের সময় আরও একমাস বেড়েছে ◈ লটারিতে সাজা‌নো মাঠ প্রশাসন দি‌য়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কি সম্ভব?  ◈ ২০২৬ সালে চাঁদে পা রাখবে পাকিস্তান ◈ দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজের বিকল্প কে এই কলিম সানা? ◈ সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত-এনসিপি একমত, নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাখ্যা দিলেন আখতার হোসেন ◈ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে: সামান্তা শারমিন ◈ আজ শপথ নেবেন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদত্যাগের পর খোদা বকশ নিখোঁজ: ফোন বন্ধ, অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ বুধবার রাতে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর তার বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে খোদা বকশের পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা টাইমস। তিনি জানান, পদত্যাগের দিন রাত আনুমানিক ৯টার দিকে খোদা বকশ নিজেই তাকে ফোন করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেন, এটি হয়তো তাদের মধ্যে শেষ ফোনালাপ হতে পারে, কারণ তিনি তার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোনটি হস্তান্তর করতে যাচ্ছেন।

পরিবারের ওই সদস্যের ভাষ্য অনুযায়ী, ফোনালাপে খোদা বকশ জানান, তিনি ইতোমধ্যে তার পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন এবং দপ্তর ত্যাগ করেছেন। তবে পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই কারণ ফোনে বলা যাবে না।” এরপর তিনি কয়েকদিন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখবেন বলেও পরিবারকে অবহিত করেন।
পরিবারের ওই সদস্য আরও জানান, খোদা বকশ তাকে অনুরোধ করেছেন যেন বিষয়টি শুধুমাত্র তার মাকে জানানো হয় এবং অন্য কোথাও এ নিয়ে কিছু না বলা হয়। বিভিন্ন দিক থেকে ফোন আসতে পারে বলেই আপাতত মোবাইল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ঢাকা টাইমসকে দেওয়া তথ্যে ওই সদস্য বলেন, খোদা বকশ এর আগেও একবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে সে সময় তা গ্রহণ করা হয়নি। সেটি সম্ভবত গত বছরের অক্টোবর মাসের দিকে ছিল।

খোদা বকশের রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবারের সদস্য বলেন, তাকে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত বলা যায় না। তবে বিএনপির কিছু নেতার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কারাবরণ করায় আওয়ামী লীগের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সঙ্গে খোদা বকশের সম্পর্ক সবসময় মসৃণ ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে তিনি কঠোর ভাষায় কথা বলতেন, যা বিভিন্ন মহলে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছিল। ডিবি থেকে কয়েকজন কর্মকর্তাকে সরানোসহ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগও উঠেছিল।

তবে দুর্নীতির কোনো অভিযোগের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এ ধরনের কোনো তথ্য তারা এখন পর্যন্ত শোনেননি। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যেও উদ্বেগ রয়েছে বলে জানান ওই সদস্য।

খোদা বকশ বর্তমানে দেশে থাকবেন নাকি বিদেশে যাবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিবারের সদস্য বলেন, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। পদত্যাগের পর খোদা বকশ একবার ফোন করে কিছু মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেছিলেন, তবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু জানাননি।

পরিবারের সদস্যের ভাষ্য অনুযায়ী, খোদা বকশ বর্তমানে মানসিকভাবে বিমর্ষ। তিনি কয়েকদিন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না বলেও পরিবারকে জানিয়েছেন।

১৯৭৯ সালে পুলিশে যোগ দেওয়া খোদা বকশ আইজিপির দায়িত্ব পান ২০০৬ সালের নভেম্বরে; বিএনপি জোট সরকারের শেষ দিকে।

জোট সরকার দায়িত্ব হস্তান্তরের পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও তিনি আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয় তাকে।এরপর ২০১০ সালের মার্চে স্বেচ্ছায় অবসরে যান খোদা বকশ। সূত্র: ঢাকা টাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়