শিরোনাম
◈ ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে অভিবাসীদের ভিসা নাও দেওয়া হতে পারে: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা ◈ ‘আমি একজন হতভাগী, পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম, দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন’ ◈ গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহর খোঁজ নিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দ্রুত সুস্থতা কামনা ◈ ভারতীয় সীমান্তে সক্রিয় চক্র, দেখতে আসল কিন্তু জাল টাকা! (ভিডিও) ◈ নিউ ইয়র্কের মেয়র মামদানি উগান্ডার ক্রিকেট লিগে খেলেছেন ◈ জামায়াত নেতার ‘নো হাংকি পাংকি’ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন মাসুদ কামাল ◈ ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর: বাংলাদেশ ঘিরে কৌশলগত চাপ বাড়াতে ভারতের নতুন পদক্ষেপ ◈ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাব নিয়ে ঢাকায় হবে সুপার কাপ ফুটবল  ◈ ‌ক্রিশ্চিয়া‌নো রোনালদোর কাছে সৌদি আর‌বের চেয়ে স্পেনে গোল করা সহজ ◈ কয়েকশ কারখানা বন্ধ ও লাখো শ্রমিক বেকার, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৫ সকাল
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৮৩ কোটি নয়, ব্যয় মাত্র ১.৭১ কোটি টাকা: বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করলেন ড. আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ছড়ানো অপপ্রচারকে ‘সবৈর্ব্য মিথ্যাচার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে’—এ ধরনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে জানান, পরিকল্পিত এই প্রপাগান্ডার মাধ্যমে অপপ্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য সংগ্রহ করেনি এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করেনি। তিনি বিস্তারিত ব্যয় হিসাবও প্রকাশ করেছেন।

কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত কমিশনের ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১১২৬ টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ২৩.৪৬ শতাংশ। আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যা থেকে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।

ড. আসিফ জানান, আপ্যায়ন খরচের মূল অংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক ও আলোচনা সভায় হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠকে ব্যয় হয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি দলের প্রতিনিধির সঙ্গে ২৩টি সভায় ব্যয় হয়েছে ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই সময়ে দৈনিক ব্যয় ছিল গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম নয়। তৃতীয় পর্যায়ে ৭টি বৈঠকে ৩০ দলের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।

এছাড়া ৫০টি অন্যান্য সভায় ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা। অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে ১৩টি বৈঠকে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৩৪০ টাকা, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। অতিথি আপ্যায়নে নয় মাসে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিবিদ, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অন্যান্যরা।

ড. আসিফ বলেন, ‘৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের অভিযোগ কেবল মিথ্যাচার নয়, এটি কমিশন এবং তার কাজকে হেয় করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা মাত্র। কমিশন অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। সাংবাদিকরা প্রতিদিন খবর সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছেন, প্রেস ব্রিফিং নিয়মিত হয়েছে, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘অসৎ প্রপাগান্ডা ছড়ানো মহল দ্রুত ভুল স্বীকার করবে এবং ক্ষমা চাবে। গণমাধ্যমগুলো সঠিক তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়