রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন রাজশাহীর একটি আদালত।
আজ রোববার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালত–১ এর বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পিপি কানিজ ফাতেমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে খালাস দেন।'
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। পরদিন তার মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ হত্যার ঘটনায় মোট ১১৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৯ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন এবং ১০৫ জন বেঁচে আছেন।
আজ রায় ঘোষণার সময় ২৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
মতিহার থানায় তৎকালীন রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপুর দায়ের করা হত্যা মামলায় জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়।
পরে ২০১২ সালের ২৮ জুলাই পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে ১১৪ জনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন জামায়াতে ইসলামির আমির মতিউর রহমান নিজামী, মহাসচিব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবির সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, নওয়াব আবদুল লতিফ হলের শিবির সভাপতি হাসমত আলী এবং শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সভাপতি রায়জুল ইসলাম। দ্য ডেইলি স্টার