সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বুধবার থেকে টানা চারদিনের ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি পাবেন তারা।
তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকায় কর্মীরা চারদিনের পরিবর্তে একদিন কম ছুটির সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।
২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, দুর্গাপূজার মহানবমী উপলক্ষে বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী হচ্ছে দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটি। ৩ ও ৪ অক্টোবর যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় তা সাপ্তাহিক ছুটির অংশ হিসেবে গণ্য হবে। এতে টানা চারদিন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
আগের সরকারের আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদে তিনদিন ও দুর্গাপূজায় একদিন ছুটি থাকতো। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয়। গত বছরের অক্টোবরে তারা দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটির পাশাপাশি একদিন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে। এতে তখনো সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সঙ্গে টানা চারদিন ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির তালিকা প্রণয়ন করে। ওই তালিকা অনুযায়ী এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন ও শারদীয় দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ৯ দিন বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির শুরুতে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়ায় টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো বন্ধ থাকবে ১২ দিন। দুর্গাপূজার ১০ দিনের ছুটি ও দুদিনের সাপ্তাহিক বন্ধসহ টানা ছুটি থাকবে ১২ দিন।
দেশের আলিয়া মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্গাপূজায় মাত্র দুদিন ছুটি থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী— ১ ও ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদারাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।