শিরোনাম
◈ জরুরি অবস্থা ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন : অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে শান্তি নিশ্চিত করুন: মির্জা ফখরুল ◈ যশোরের আশরাফুল হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেফতার ◈ বড় ব্যবধানে শ্রীলংকাকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ ◈ সোহাগ হত্যায় ব্যাপক সমালোচনা, চাপে বিএনপি ◈ নিরাপত্তা দাবিতে মিটফোর্ড মেডিক্যালে ছাত্র ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলন, হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা ◈ মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ হাসপাতালে ভর্তি ◈ ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক! ◈ কুমিল্লা নগরীর ছোটরায় আ.লীগ নেতা হামিদকে মারধর করে পুলিশ দিলেন স্থানীয়রা ◈ কুমিল্লার যে সড়কে বার মাস জলাবদ্ধতা থাকে

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৫, ০৫:২৯ বিকাল
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জরুরি অবস্থা ঘোষণায় বিরোধীদলের অংশগ্রহণ ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষার সুপারিশ

জরুরি অবস্থা কীভা‌বে জা‌রি হ‌বে, এ বিষ‌য়ে ঐকমত‌্য হ‌য়ে‌ছে রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভা‌বে নন, ম‌ন্ত্রিসভার অনু‌মোদ‌নে জা‌রি হ‌বে জরু‌রি অবস্থা। এ-সংক্রান্ত ম‌ন্ত্রিসভার বৈঠ‌কে উপ‌স্থিত থাক‌বেন বি‌রোধীদলীয় নেতা বা উপ‌নেতা। 

রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে এই ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো। সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়- জরু‌রি অবস্থা হ‌লে নাগরিকের ‘জীবনের অধিকার’ এবং ‘নির্যাতন থে‌কে রক্ষা পাওয়ার অধিকার থাক‌বে’। জরু‌রি অবস্থা ঘোষণা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব‌্যবহার করা হ‌বে না। 

জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ এর ক এর ১ ধারা মতে রাষ্ট্রপতির কাছে যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যা যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দ্বারা বাংলাদেশ বা যেকোনো অংশের নিরাপত্তার বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন, তা হলে তিনি অনধিক ৯০ দিনের জন্য জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। তবে বৈধতার জন্য জরু‌রি অবস্থা ঘোষণার আগে মন্ত্রিসভার লিখিত অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। 

বিদ্যমান সংবিধানে ১২০ দিনের কথা বলা আছে। একই সঙ্গে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রীর সই প্রয়োজন হয়। 

জরুরি অবস্থা নিয়ে গত ৭ ও ১০ জুলাই আলোচনা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রোববারের আলোচনায় বলা হয়, বিদ্যমান ১৪১ (ক) সংশোধনের সময় অভ্যন্তরীণ গোলযোগের শব্দগুলোর পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সইয়ের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা। ওই সময়ে নাগরিকের দুটো অধিকার অলঙ্ঘনীয় করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৪৭ (৩) এর বিধান সাপেক্ষে কোনো নাগরিকের জীবন অধিকার, নির্যাতন ও নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণে বা শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার খর্ব করা যাবে না।
 
সংলাপে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সইয়ের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত দেখা যায়। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মন্ত্রিসভার পরিবর্তে সর্বদলীয় বৈঠক থেকে  সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আহমদ আবদুল কাদের মন্ত্রিসভার সঙ্গে বিরোধী দলকে যুক্ত করা প্রস্তাব দেন। 

আলোচনার এক পর্যায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জরুরি অবস্থা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতার উপস্থিতি নিশ্চিতের প্রস্তাব করেন। এতে সমর্থন জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বিরোধীদলীয় নেতা না থাকলে কে উপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি সে সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার জানান, বিরোধী দলীয় উপনেতাও প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদার। পরে সিদ্ধান্ত হয়, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সইয়ের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতা উপস্থিত থাকবেন। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়