শিরোনাম
◈ রাশিয়া-কানাডা থেকে ৩৩২ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার ◈ ধামরাইয়ে বিশেষ অভিযানে ৩১লাখ টাকার হেরোইন সহ গ্রেপ্তার ৩।  ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে ইসরায়েলের বিরু‌দ্ধে ম্যাচের টিকিট বিক্রির টাকা ফিলিস্তিনে দান করবে নরওয়ে ◈ জাতিসংঘের এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশ, সতর্ক থাকবার বার্তা তারেক রহমানের ◈ নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ গণআন্দোলন রুখতে কড়া প্রস্তুতি: গবেষণায় নামছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন উদ্যোগ: ‘জাপান ডেস্ক’ চালু, ভাষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা ◈ চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক ◈ ফরিদপুরে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে অসন্তোষ, যা বলছেন ইসি সচিব

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৫, ০৪:৩৪ দুপুর
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদাকে ৩ বছরের দণ্ড থেকে খালাস

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এ রায়ের ফলে তারেক দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলার কোনো অভিযোগ, দণ্ডাদেশ বা সাজা আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। 

সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা।

মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। আর তারেক রহমানকে সহযোগিতা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবায়দা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। পরের বছরই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রায় দেওয়া হয়।

দুদক আইনের দুটি ধারায় (২৬(২) ও ২৭(১) ধারা) তারেক রহমানকে নয় বছর এবং জুবাইদা রহমানকে দুদক আইনের ২৬(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন পেশায় চিকিৎসক জুবাইদিা রহমান। ১৭ বছর পর শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। এরপরই তিনি মামলাটির বিরুদ্ধে আপিল করার উদ্যোগ নেন।

এর জন্য তিনি গত ১৩ মে হাইকোর্টে বিলম্ব মার্জনা চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে তাকে আপিলের অনুমতি দেন। এক্ষেত্রে তার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করা হয়। পরের দিনই তিনি আপিল করেন। সঙ্গে জামিন আবেদনও করা হয়।

ওই দিনই আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেন। আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়। এরপর আপিল শুনানি শুরু হয়। গত ২৬ মে শুনানির পর আপিলটি রায়ের জন্য রাখেন আদালত। তবে বুধবার ফের শুনানি হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করলেও তারেক রহমান জুবাইদা রহমানের করা আপিলে বিচারের সুবিধা পাবেন কিনা, তার নজির তুলে ধরেন আইনজীবীরা। এরপর রায় দেন হাইকোর্ট।

আদালতে তারেক-জুবাইদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও কায়সার কামাল ও আইনজীবী মো. জাকির হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আইনজীবী আসিফ হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল করিম। 

যদিও গত ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলায় জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার। বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করে আপিল করার শর্তে সাজা স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়