শিরোনাম
◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে ◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৫, ০৮:২৫ রাত
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টা

মনিরুল ইসলাম: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শ্নেক সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম এবং আন্দোলনের পরে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে খোঁজ নেন। 

তিনি বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) সভাপতি স্টিফেন শ্নেক রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করতে এলে একথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তাদের আলোচনায় বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ১৭ কোটি ১০ লাখ মানুষের দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকারের আত্মোৎসর্গের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে এবং পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। 

তিনি বলেন, যে কোনও সাংবাদিক, যে কোনও সময় বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। অভ্যুত্থানের পর অনেকেই এসেছেন। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করা এবং পরবর্তী সময়গুলোতে সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার লক্ষে পরিকল্পিত মিথ্যা তথ্য প্রচারণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।

তিনি দক্ষিণ এশিয়ার গণমাধ্যমসহ বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই অভ্যুত্থানকে ইসলামি চরমপন্থী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করার ব্যাপক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। দক্ষিণ এশিয়ায় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে সহিংসতা এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যা অভ্যন্তরীণভাবে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে উল্লেখ করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংবিধান সংশোধন বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার সমুন্নত রাখবে। প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ঐকমত্য কমিশন। সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর মতো সমান অধিকার ভোগ করতে থাকবে।

ড. ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা এবং তাদের দীর্ঘায়িত নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরতে ইউএসসিআইআরএফের সমর্থন কামনা করেন। 

তিনি উল্লেখ করেন, তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের একটি বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বলেন, আমাদের এই সংকটের সমাধান করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই মঙ্গল। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠছে বিক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম। তাদের আশার আলো দেখাতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়