মামলার ঘটনার দিন নুসরাত ফারিয়া দেশে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহিন। সোমবার (১৯ মে) আদালতে শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
মোরশেদ হোসেন শাহিন বলেন, ‘নুসরাত ফারিয়া মামলার ঘটনার দিন দেশে ছিলেন না। তিনি কানাডায় ছিলেন। আদালতে তার পাসপোর্ট দাখিল করছি। তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। আমরা তার জামিন চাচ্ছি।’
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আসামি ফ্যাসিস্টের সহযোগী। আসামির জামিন নাকচ চাচ্ছি।’
আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নুসরাত ফারিয়াকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই বিল্লাল ভূঁইয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজনীন আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন বিষয়ক শুনানির জন্য আগামী ২২মে দিন ধার্য করে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থানা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ভাটারা থানাধীন এলাকায় এক হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয় শিল্পী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ নায়িকাকে।