শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:২২ রাত
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, বাড়তে পারে লোডশেডিং

মনজুর এ আজিজ : চলমান বকেয়া পরিশোধের মাধ্যমে দুটি ইউনিট থেকে আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল। তবে হঠাৎ কারিগরি ত্রুটির কারণে আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ লোডশেডিংয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সূত্র মতে, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটের সরবরাহ বন্ধ হয়েছে গত ৮ এপ্রিল। দ্বিতীয় ইউনিটের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় শুক্রবার (১১ এপ্রিল)। পরপর দুটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ লোডশেডিংয়ে পড়তে পারে বলে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে পিজিসিবি ও পিডিবি।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে জানানো হয়েছে, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু না করলে রোববার থেকেই লোডশেডিং বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘাটতি মেটাতে ইতোমধ্যে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাসের আবেদন করেছে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।  বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের রাষ্ট্রীয় সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড পিএলসি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে সর্বোচ্চ ১৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল। ৮ এপ্রিলের পরও ৭৫০ মেগাওয়াটের বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। এখন আর কোনো বিদ্যুৎ আসছে না। তবে শনিবার রাতে একটি ইউনিট চালু করার কথা রয়েছে।

তারা জানান, শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম। দুপুর একটা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এ সময় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে রোববার থেকে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে।

এদিকে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও পিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া পরিশোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি। গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ করে পিডিবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিট দুটি চালু হলেও আবারও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে লোডশেডিং বাড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎখাত সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়