শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আনন্দ উল্লাস! (ভিডিও) ◈ পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে জামায়াতের কাছে লিজ দিন: ডা. তাহের ◈ জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো যুবকের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ, আসলে কী হয়েছিলো? যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ তামিম ইকবালকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে এতদিন পরে রাস্তায় কেন? ◈ ভারতীয় মিডিয়া যা তা নিউজ করে, ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ড নেই ওদের: শফিকুল আলম (ভিডিও) ◈ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ◈ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২৫, ০৮:৫৯ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দণ্ড মওকুফ: রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

নীতিমালা ব্যতীত মৃত্যুদণ্ড, আমৃত্যু কারাবাস, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তসহ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমা প্রয়োগের বৈধতা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এই ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা কেন প্রণয়ন  করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষমা প্রদর্শনের  ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নে বিবাদীদের (রিট মামলার বিবাদী) নিষ্ক্রিয়তা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়। চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষমা প্রদর্শনের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম করবার এবং যে কোনো দণ্ড  মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।

গত বছরের ২০ জানুয়ারি কোনোরকম নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। রিট মামলার যুক্তিতে তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ। কিন্তু কেন, কিসের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আসামি ক্ষমা পাচ্ছেন সে বিষয়ে কোন নীতিমালা নেই। এটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তি। তিনি কাউকে ক্ষমা করতেই পারেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বছরের পর বছর, ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি করা হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। ইতিমধ্যেই এই ক্ষমতা ব্যবহার করে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং ঘৃণিত অনেক আসামি ক্ষমা পেয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মহসিন কবির।

শুনানি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হয়েছে। হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বেশিরভাগ আসামি একবার ক্ষমা পেয়ে আবারও গুরুতর অপরাধে জড়াচ্ছে। আরো খুন করছে। ফলে যারা বছরের পর বছর মামলা চালাল সেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিচার পেল না। তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হল। যদি এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা না থাকে তাহলে এটি ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের দায়িত্ব জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার মতো মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা। কিন্তু কোনো নীতিমালা ছাড়া যাকে খুশি তাকে ক্ষমা করা হচ্ছে। কি কারণে করছে সেটাও বলা হয় না। এমনকি এমন মানুষদেরও ক্ষমা করা হচ্ছে যারা কোনোদিন আদালতে হাজির হয় না। আবেদন কিভাবে করল, সেটির কোনো গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না, তা যাচাই হচ্ছে না। আমাদের বক্তব্য হলো, যাচাই-বাছাই না করে ক্ষমা যদি হয় খুনিদের জন্য তাহলে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত।’ উৎস: দেশ রুপান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়