শিরোনাম
◈ বিএনপির ৩ সংগঠনের ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা রবিবার ◈ রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ◈ ‘আমার মা খুকুরানীকে ভুল বুঝিয়ে বক্তব্য নিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া’ (ভিডিও) ◈ রাতের খাবার খেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকসহ ৫০ ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি ◈ আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি : ভারতের হাইকমিশনার ◈ কলকাতার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা ◈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত প্রত্যেককে জবাবদিহিতা করতে হবে: তারেক রহমান ◈ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিল আরএসএস ◈ জি এম কাদেরের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন রিজভী (ভিডিও) ◈ প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত না হয়

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে ছাড়তে হবে দলীয় প্রধানের পদ!

প্রধানমন্ত্রী হলে দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া, ৫১ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় ভোট গ্রহণ এবং দেশের সব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। গতকাল বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে এসেছে। মতবিনিময় সভায় বিচারপতি ইমান আলী, চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় ও অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম পরামর্শ দেন। এ ছাড়া ৯টি সংগঠনের ১৬ জন প্রতিনিধি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে জাতিসত্তা নিয়ে বাঙালি পরিচয়ভিত্তিক যে ভাবনা আছে, তা সংকীর্ণ। শিক্ষক জোটটির বক্তব্য, দেশের ভূখণ্ডের সব জাতিসত্তার পরিচয়ের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া দরকার। এ ছাড়া নারী ও পুরুষের বাইরে যেসব লিঙ্গ পরিচয় আছে, সে বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। বর্তমান সংবিধানের ৭ (খ) ধারায় সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনা-পর্যালোচনাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি বাতিলের প্রস্তাব করেছে নেটওয়ার্ক। তাদের প্রস্তাবে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতেও বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা দুই কক্ষের সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ চার বছর করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদের দায়িত্ব গ্রহণের পরে নিজ দলের প্রধান থাকতে পারবেন না–এ বিধানও যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

কোনো নির্বাচনে অন্তত ৫১ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিলেই কেবল তা বৈধ হবে বলে মত দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। সংগঠনটির সদস্য আপন জহির এ কথা জানান।

নারী ও পুরুষদের সমান অধিকারের বিধান কার্যকর করার বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনের সভাপতি নাজমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে এর প্রভাব এখন পড়ছে। তাঁরা এখন জেলে যাচ্ছেন, যার প্রভাব পড়ছে শিল্পকারখানায়। কর্মীরা বেতন পাচ্ছে না। তাই আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংসদ চেয়েছি। একজন টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না সেই বিধান রাখার প্রস্তাব করেছি। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি, দলিতসহ অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে যুক্তদের কাজের সমান সুযোগ-সুবিধা রাখার জন্য প্রস্তাব করেছি।’

মৌলিক অধিকারের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে গুমের শিকারদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। আহ্বায়ক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্যই তো সংবিধান সংশোধন বা সংস্কার। বিগত সময়গুলোতে মানুষের মৌলিক অধিকারই ছিল না। তাই মৌলিক অধিকারের বিষয়টি যাতে সুস্পষ্টভাবে আনা হয়। বিচার বিভাগ যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, সেই বিধান রাখার জন্য প্রস্তাব করেছি। নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভার কর্মকাণ্ডের পৃথক্‌করণ ও প্রত্যেকের এখতিয়ারের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে সংবিধানে উল্লেখ করতে হবে।

মতবিনিময়ে ৯টি সংগঠনের ১৬ জন প্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)-এর আখতার হোসেন খান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা ও অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, মায়ের ডাকের সানজিদা ইসলাম তুলি ও মুশফিকুর রহমান জোহান, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর রোমান উদ্দিন ও আপন জহির, দলিত নারী ফোরামের তামান্না সিং বারাইক ও পূজা রানী, নাগরিক উদ্যোগের নাদিরা পারভীন ও সুলতান মো. সালাউদ্দিন সিদ্দিক, সম্পূর্ণার জয়া শিকদার ও সুদীপ কুমার দাস, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মো. জুনাইদ ও মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নাজমা আক্তার।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষে ছিলেন এর প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ ও মো. মুস্তাইন বিল্লাহ। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়