শিরোনাম
◈ ভারত শাসিত কাশ্মীরে আবারও বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩ ◈ মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু! দেশের এক ইঞ্চি মাটি ও ছেড়ে দেবো না: বিজিবি (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের পর এনসিপি-জামায়াত বিভক্তি: শাহবাগে জাতীয় সংগীত ও বিতর্কিত স্লোগান ঘিরে তুমুল বিতণ্ডা ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিডার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ◈ আঠারো কোটি টাকার অবৈধ জাল ও মাছসহ নৌকা আটক ◈ ঢাকার মূল সড়কে রিকশা চলবে না: অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান ◈ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলল ভারত  ◈ জাতীয় স্বার্থের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না : আশিক চৌধুরী ◈ স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা, বিষয়টিকে বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন পার্থ! (ভিডিও) ◈ যে কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিভক্ত করা হলো

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৯ দুপুর
আপডেট : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: আপিল মঞ্জুর, খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

মনিরুল ইসলাম: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছিল। এই রায় বাতিল ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন। ফলে এই মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া।

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয় তার আইনজীবীরা। আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার আপিল শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদন ও কায়সার কামাল। খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

অপর দুজন হলেন, হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।

এদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিলটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। হাইকোর্টে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া আপিলটি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়