শিরোনাম
◈ বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক ◈ হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন ◈ আবারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি ◈ আজ গভীর রা‌তে বা‌র্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মু‌খোমু‌খি ◈ প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বড় সুখবর দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের জন্য ◈ টি-টোয়েন্টি সি‌রিজ খেল‌তে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ◈ আমার স্বামী চায় আমি খোলামেলা জামা পরি: মডেল পিয়া বিপাশা ◈ বিচারকাজে বাধা ও হুমকি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ◈ ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ঘর হস্তান্তর: সেনাবাহিনীর দক্ষতায় অর্ধেক খরচে সফল বাস্তবায়ন

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:৫৬ বিকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিচার বাকি আবুবকরের’ মনে আছে বিশ্বজিৎ... ফিরবে না আবরার : আসিফ নজরুল

হত্যা-নির্যাতনসহ নানা বিতর্কিত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরপরই ছাত্রলীগের হামলায় নিহত আলোচিত তিনজনের ছবি পোস্ট করে স্ট্যাটাস দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

গতকাল বুধবার রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশর বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ, পুরান ঢাকার বিশ্বজিৎ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী আবু বকরের ছবি নিজের ফেসবুকে আলাদা আলাদা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পোস্ট করেন আসিফ নজরুল।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের হাতে নিহত আবরার ফাহাদের ছবি প্রথমে পোস্ট করেন তিনি। সেখানে আসিফ নজরুল লিখেন, ‘কোনো দিন ফিরবে না,

আমাদের আবরার!’
বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার। তাকে শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ওই হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড আর ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।

এরপরই পোস্ট করেন ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কোপানোর একটি ছবি। আসিফ নজরুল লেখেন, ‘

মনে আছে বিশ্বজিৎ!’

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে দুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ওই হত্যার একবছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছিল। পরে, সেই মামলায় ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে, ছয়জনকে রেহাই দেন। মামলা থেকে খালাস দেয়া হয় চারজনকে। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে এখনও পলাতক ১৩ জন।

সবশেষ পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকরের ছবি। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান তিনি।

আসিফ নজরুল লেখেন, ‘এই বিচার বাকি আছে। হৃদয়ে আবু বকর।’

২০১৭ সালেই আবু বকর হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পান। সব আসামি খালাস পাওয়ায় কে বা কারা আবু বকরকে খুন করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি, রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলও করেনি। ফলে বিচার ছাড়া ওই মামলা সেখানেই শেষ হয়। উৎস: বিডি প্রতিদিন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়