সুজন কৈরী: ‘বঙ্গবন্ধুর পথে হাঁটি, বৃক্ষ ছায়ায় বাংলার মাটি’ এবং ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বৃক্ষরোপণ এবং মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচী-২০২২ এর উদ্ধোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পূর্ব পাশের মাঠে একটি বট গাছের চারা রোপন করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর শুভ উদ্ধোধন করেন।
তিনি বলেন, বৃক্ষ আমাদের ছায়া দেয়, পাখিদের আশ্রয় দেয়, মাটি ধরে রাখে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধন করে এবং প্রকৃতিতে অক্সিজেন ও কার্বনডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, সুস্থ জীবন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং বায়ু ও অন্যান্য পরিবেশ দূষণরোধ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব জনিত প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলাসহ জীববৈচিত্রের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে আমাদের অধিক পরিমাণে বৃক্ষ রোপন করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেশের ১ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত পড়ে না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রতিপালনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বাহিনীর সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপির প্রতিটি খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ, ভেষজ, ঔষধি ও অন্যান্য গাছের চারা রোপন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এ কর্মসূচী সফল করার জন্য বিজিবি’র সকল সদস্যকে আহবান জানান।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর আওতায় বিজিবি দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি পর্যায় সর্বমোট ১ লাখ বৃক্ষ রোপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পার্শ্বের পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
এ সময় তিনি বলেন, মাছ আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। বাংলাদেশ নদ-নদী খাল-বিল ও পুকুর জলাশয়ের দেশ। এ সকল পুকুর জলাশয় ফেলে না রেখে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মাছ চাষ করলে তা জাতীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি প্রতিটি বিজিবি সদস্যকে মৎস্য চাষে ব্রতী হয়ে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি’তে যে সকল পুকুর ও জলাশয় রয়েছে তা সংস্কার করে মাছ চাষ করার আহবান জানান। শুধু বৃক্ষরোপণ ও মৎস্য চাষই নয়, দেশের সকল মহৎ কাজে বিজিবি’র প্রতিটি সদস্য অবদান রাখবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।