শিরোনাম
◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে লন্ডন গেলেন জামায়াত আমির ◈ সরকারি গাড়িতে যুগ্ম সচিবকে জিম্মি, ৬ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ রাত
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন বাতিল করতে চিঠি

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০২৩ বাতিলের সুপারিশ করে প্রেসিডেন্টের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে জাতীয় স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের অমূল্য তথ্যভান্ডার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের হাতে ন্যস্ত না করতে অনুরোধ করা হয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির দপ্তরের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বরাবর এই পত্র পাঠানো হয়। 

চিঠিতে বলা হয়, ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়। এটি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে হাতছাড়া হলে, নাগরিকদের অনেক সকল তথ্য বেহাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন এর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনরের কাছে রাখতে ১০ দফা কার্যকারিতা তুলে ধরা হয়। 

চিঠিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লব ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে গত ৫ই আগস্ট বিগত সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। ফলস্বরূপ গঠিত অন্তর্বতী সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবযাত্রা শুরু করেছে। ২০০৭-০৮ সালে দল-মত নির্বিশেষে সকলের আস্থার জায়গা থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় সরকার ও ইউএনডিপিসহ ৯টি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ৮.১০ কোটি নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহপূর্বক জাতীয়ভাবে ভোটার ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়। সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে এই ডাটাবেজে প্রায় ১২.১৯ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। UNDP এর সমীক্ষা অনুসারে ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯.৭ শতাংশ সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ব্যতিরেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের একই জনবল দ্বারা বিগত ১৭ বছর যাবৎ নিবন্ধিত নাগরিকগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে। দীর্ঘ এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশব্যাপী নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে।

তৎকালীন সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত (সংলাগ-১) উপেক্ষা করে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

উল্লেখ্য, এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে দ্বিমত জানিয়ে ২০২১ সালের ৭ই জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পত্র প্রেরণ করে বিগত নির্বাচন কমিশন তার অবস্থান সুস্পষ্ট করে বিগত সরকারের আমলে গত বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ বাতিলপূর্বক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে উক্ত আইনের কার্যকারিতার তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বর্তমানে এনআইডি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সুত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়