সালেহ ইমরান: [২] জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদেশে গেছেন ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন কর্মী। এর মধ্যে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৮ জন অর্থাৎ ৭৭ শতাংশ কর্মীই গেছেন অদক্ষ হিসেবে। স্বল্প দক্ষ কর্মী গেছেন ২৫ হাজার আর দক্ষ হিসেবে গেছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ জন। অথচ এ সময়ে দেশের ১০৪টি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ও ছয়টি মেরিন টেকনোলোজি ইন্সটিটিউট (আইএমটি) থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৭ জন কর্মীকে।
[৩] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, প্রতিবছর প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীই বিদেশে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কাজে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই। যে ১০ শতাংশ প্রশিক্ষিত কর্মী যান তাদের মধ্যে আবার ৪৭.৬৬ শতাংশই দক্ষতা অর্জন করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। অথচ বিদেশের শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি রফতানির লক্ষ্য নিয়ে এসব টিটিসি ও আইএমটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
[৪] অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত সংখ্যক লোক বিদেশে যাচ্ছেন তার চেয়ে বেশি লোককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে টিটিসি ও আইএমটিগুলো। সুতরায় তারা কাদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সে প্রশ্ন ওঠে।
[৫] এ ব্যাপাওে নারায়ণগঞ্জের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলোজির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীর হার এতা বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে এজন্সিগুলো তাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
[৬] ব্র্যাকের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভস প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে কতজন প্রশিক্ষণ পেলো আর কতজন বিদেশে গেলো তার একটা মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :