সুজন কৈরী: [২] দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি দাবি করে ডিএমপির সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমেরিকা নয়, হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য তিনি সিঙ্গাপুর গেছেন। ২২ জুন দেশে ফিরবেন।
[৩] তিনি বলেন, আমার ও পরিবারের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। দেশে ফিরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমি তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করবো।
[৪] গণমাধ্যমকে দেয়া ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
[৫] তিনি বলেন, সপরিবারে তার দেশ ছাড়ার খবরটি ভিত্তিহীন। এসব সংবাদ সরকারকে বিতর্কিত করতে প্রকাশিত হয়েছে। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
[৬] গণমাধ্যমকে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশেও আমার কোনো সম্পদ নেই।
[৭] সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমার সকল সম্পদ বৈধ আয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কেনা। বাবার একমাত্র সন্তান হিসাবে পারিবারিকভাবে বেশ কিছু সম্পদও পেয়েছি। সেসবের কিছু বিক্রি করে নতুন করে সম্পদ কেনা হয়েছে। সে সব আয়কর নথিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।
[৮] আছাদুজ্জামান বলছেন, তার ছেলে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে বড় পদে আছেন এবং ছেলের বউ একটি বিদেশি ব্যাংকে চাকরি করেন। তার মেয়ে এবং জামাতা চিকিৎসক। তাদেরও সম্পদ কেনার যোগ্যতা আছে। ছেলে মেয়ের অর্থ দিয়ে কেনা সম্পত্তিও পত্রিকার প্রতিবেদনে তার নামে প্রচার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার।
[৯] তিনি দাবি করেন, অতীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের বিতর্কিত করতে একটি চক্র কাজ করছে। ওই চক্র এরইমধ্যে অনেককে নিয়ে রিপোর্ট করেছে।
[১০] সম্প্রতি আছাদুজ্জামান ও তার পরিবারের বিপুল পরিমান সম্পদের খবর প্রকাশ পায়। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঈদুল আজহার ছুটি শেষে তার সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে পারে। এরই মধ্যে তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
[১১] দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তিনি দেখেছেন। তার মতে, এসব অভিযোগ কতটুকু সত্য, দুদকের উচিত তা যাচাই-বাছাই করা। কেউ অভিযোগ না করলেও দুদক স্বউদ্যোগে এ বিষয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা রাখে।
[১২] আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসকে/এসবি/একে