সালেহ ইমরান: [২] দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যাণ্ড সফরে নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে ঢাকা-ব্যাংকক সম্পর্ক। এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ১৮তম বৈঠকে যোগ দিতে শেখ হাসিনা ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যাণ্ড সফর করেন।
[৩] এই সহযোগিতা শুধুমাত্র অঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তই নয়, বরং দু’দেশের অভিন্ন স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রযাত্রা। এই সফরে শেখ হাসিনা থাইল্যাণ্ডের রাজা-রাণী, প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে দু’দেশের গভীর সম্পর্ককে আরো গভীর করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। (ব্যাংকক পোস্ট ২৭.০৪.২০২৪)
[৪] ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্র নীতিতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো বিশেষ করে থাইল্যাণ্ডের সাথে সম্পর্ক জোরদারকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। (ব্যাংকক মেইল ২৭.০৪.২০২৪)
[৫] থাইল্যাণ্ড পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো বন্ধুদের একজন। এই সম্পর্কের ইতিহাস ৫২ বছরের দীর্ঘ। বাণিজ্য ও পর্যটন ক্ষেত্রে সহয়োগিতা ছাড়াও বাংলাদেশের মেট্রোরেল প্রকল্পে থাইল্যাণ্ডের সহযোগিতার কথা দেশটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশ তার প্রতিটি ক্ষেত্রে থাইল্যাণ্ডকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে। (ব্যাংকক টাইমস ২৭.০৪.২০২৪)
[৬] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাইল্যাণ্ডের প্রবৃদ্ধিরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গত চার দশকে থাইল্যাণ্ডের নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার সাফল্যের কথাও তিনি বলেছেন।
[৭] প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের একসঙ্গে কাজ করার ঐকমত্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। (ব্যাংকক রেকর্ডার ২৭.০৪.২০২৪) সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :